বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাঙালির নিজস্ব মঞ্চ

বঙ্গাব্দের ইতিকথা

13 April, 2019 - By Bangla WorldWide

বৈশাখের পয়লা, ফিরিয়ে আনে বাঙালিয়ানা

12 April, 2019 - 02:30:00 PM

অমিত মিত্র বৈশাখের পয়লা। বহুলাংশে লোকের মুখে যা 'একলা বৈশাখ'। বাঙালি, বাঙালিয়ানা আর পয়লা বৈশাখের সঙ্গে এক অদ্ভূত সমাপতনে এই 'একলা' শব্দ কি অর্থবহ নয়? প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে আমরা কি একলা হয়ে যাচ্ছি না? বিশেষ করে আজকের প্রজন্ম? ডিজিটাল আর সোশ্যাল মিডিয়ার বিশ্বায়নে আজ আমরা কমবেশি আত্মমগ্ন, একা। হয়ত কোনও উৎসব এলে, তার আয়োজনে, সমারোহে বাঙালি জানান দেয়, তারা সমবেত। তবে উৎসব ফুরোলে সেই বাঙালিই হয়ত তার অবচেতনে ফের প্রবেশ করে একার জগতে। পয়লা নাকি একলা বৈশাখ? সে কথা বরং থাক। নববর্ষের রোদ বাঙালির ঘরদুয়ারে এসে পড়লেই এ প্রশ্ন ঘোরাফেরা শুরু করে৷ হ্যাপি নিউ ইয়ারের চক্করে বাঙালির 'পয়লা' বৈশাখ নাকি ক্রমশ ...

আরও পড়ুন

বৃষ্টিভেজা চৌরঙ্গী

4 April, 2019 - 04:20:00 PM

চৌরঙ্গী, এসপ্ল্যানেড, ধর্মতলা বলতে বোধহয় মোটামুটি একই এলাকা বোঝায়। কলকাতার এবং শহরতলীর বেশ কিছু মধ্যবিত্ত বাঙালি এই অঞ্চলে দিনের অনেকটা সময় কাটালেও, রাত্রিবাস সচরাচর করেন না। সন্ধ্যার পর বা রাত খানিকটা গড়ালে তাঁরা মেট্রো, বাস, ট্যাক্সি , উবের , ওলা , লঞ্চ এসবের মাধ্যমে উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব বা পশ্চিমে শহরতলীর দিকে ধীরে ধীরে রওনা হন। যাঁদের নিজেদের গাড়ি আছে তাঁদের তাড়া কম। চৌরঙ্গীতে রঙিন রাত নামে- মধ্যবিত্ত বাঙালির তাতে বিশেষ ভূমিকা থাকে না। একটু সন্দেহের চোখেই দেখে চৌরঙ্গীর রাত্রিকে বাঙালি।

আরও পড়ুন

বই পাড়ার বইপড়া কলেজ স্ট্রিট

19 February, 2019 - 07:23:00 PM

পুরনো কলকাতার গল্প লেখাপড়া আর আড্ডায় কলকাতার কলেজ স্ট্রিটের সাথে প্রায় সমস্ত মানুষের এক 'অলিখিত' সম্পর্ক। বাঙালির রন্ধ্রে বইয়ের গন্ধ, আর তার খনি- যা ফরাসি ভাসার "মাইন ডি লিভর" হচ্ছে আমাদের কলেজ স্ট্রিট বই পাড়া।     বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম 'সেকেন্ড-হ্যান্ড' বইয়ের বাজার এবং ভারতের বৃহত্তম বইয়ের বাজার হ'ল এটি। উত্তর- মধ্য কলিকাতার এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে অবস্থিত বইপাড়া বউবাজার অঞ্চলের গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ'র মোড় থেকে মহাত্মা গান্ধী রোডের মোড় পর্যন্ত প্রায় ১.৫ কি.মি. রাস্তার দুধারে প্রসারিত।     কলেজ স্ট্রিটের ইতিহাস প্রায় ২০০ বছরের পুরনো। লটারি কমিটির মাধ্যমে চারটি প্রধান axis road তৈরি করা ...

আরও পড়ুন

গঙ্গাজল ও গঙ্গাজলি নাড়ুর কথা

18 February, 2019 - 05:40:00 PM

লিখেছেন মৌ কয়াল, ফেসবুক পেজ: পুরনো কলকাতার গল্প আমোদিনী দাশগুপ্ত … চেনেন ? চেনেন না তো ? ঊনবিংশ শতাব্দীর এক বালিকাবধূ ,যে মাত্র ১২ বছর বয়সে তার পুতুলের সংসার ছেড়ে নিজের সংসারের সর্বময় কর্ত্রী হয়ে দক্ষতার সঙ্গে সংসারধর্ম পালন করেতে শুরু করেছিলেন এবং অভাবের সংসারেও পরম যত্নের সঙ্গে নয়টি সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করেছিলেন। তার আরো একটা শখ ছিল , দুপুরে সংসারের সবার রান্নাখাওয়ার পাট মিটলে মাটির উনুনের নিভু আঁচে রকমারি মিষ্টি ও মুখরোচক খাবার বানানো। একটা সময় ছিল, যখন বাংলার ঘরে ঘরে এমন আমোদিনীদের দেখা পাওয়া যেত। বাংলা তখনও ‘এপার’ আর ‘ওপার’ এই দুভাগে ভাগ হয়নি। লেখাটা পড়তে পড়তে আপনারও হয়তো আপনাদের ব

আরও পড়ুন

পুরনো কলকাতার থিয়েটার - হারিয়ে যাওয়া মঞ্চের সন্ধানে

18 February, 2019 - 05:35:00 PM

ফেসবুক পেজ : পুরনো কলকাতার গল্প   আটের দশকের শেষ। হাতিবাগান অঞ্চলে রমরমিয়ে চলছে বিশ্বরূপা, রংমহল, বিজন থিয়েটার, সারকারিনা ও রঙ্গনা। সপ্তাহের তিন দিন রাস্তার মুখে গাড়ি চলাচল বন্ধের বোর্ড । রাজা রাজকৃষ্ণ রোডে রঙের বাহার। কিন্তু সময়ের সংগে টিভির জনপ্রিয়তার ফলে হলগুলোতে ঘনিয়ে এলো অমাবস্যার অন্ধকার। একে একে সবই বন্ধ হয়ে গেল। বিশ্বরূপায় হলো আবাসন ও রংমহলে শপিং মল। ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে নির্বাক ভাবে ধ্বংসের প্রহর গুনছে বাকিরা। সরকারি আনুকূল্যে টিকে আছে মিনার্ভা, স্টার ও গিরীশ মঞ্চ। রাজা রাজকৃষ্ণ স্ট্রিট - সন্ধ্যায় যে রাস্তায় হলমুখী বা হলফেরত মানুষের ঢল নামত, আজ সেখানে অন্ধকার, শুধুই অন্ধকার। আর ...

আরও পড়ুন

চিলেকোঠার নস্টালজিয়ায় আচার-বাহার

14 February, 2019 - 07:00:00 PM

লেখক রাজীব ঘোষ, বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং খাদ্য-গদ্যকার চিলেকোঠা মানেই গা ছমছম। ঠাকুমার আচারের বয়াম থেকে চুরি, কম বয়সে বড়দের বই, কিংবা সিগারেটে প্রথম টান। চিলেকোঠার ঘরে কত সুখস্মৃতি! সেই চিলেকোঠা যদি কোনও রেস্তোরাঁর  নাম হয় , তাহলে চমকপ্রদ কিছু আশা করব বইকি । তাই বলে বাখরখানি আর ভুনা মাটনের প্রত্যাশা ছিল না। খুলে বলছি । কলকাতায় বসে নোলার দোলায় পৌঁছে গেলাম ডোভার লেন। নামটা শুনলেই যেন বেজে ওঠে সেতার। গড়িয়াহাটের হুল্লোড় যদি ডিস্কোথেক হয়, ডোভার লেনের শান্তি নির্ঘাত উদারা–মুদারায় ধ্রুপদী। দু’‌পাশের বাড়িগুলোয় যেন আভিজাত্যের আতর মাখানো। দেবলীনা চক্রবর্তী, সেই সুদূর সিঁথি থেকে উজিয়ে এসে এখানেই খুলে ফেলেছে

আরও পড়ুন

ঠাকুরবাড়ি : স্মৃতির সরণি বেয়ে

13 February, 2019 - 08:40:00 PM

ঠাকুর পরিবারের সদস্য বিশিষ্ট সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ সন্দীপ ঠাকুর জার্মানি প্রবাসী ১৯৩১ সালে আমি যেখানে জন্মেছিলুম সেটা যেন একটা দ্বীপ; তবে তার চারপাশে জলের বদলে সব রাস্তা। আমাদের পূর্বপুরুষদের নামে সব রাস্তাঘাট ও গলি। দর্পনারায়ণ ঠাকুর স্ট্রিট এবং কালীকৃষ্ণ ঠাকুর স্ট্রিট চলে গেছে একেবারে দক্ষিণে। আর পশ্চিমে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর রোড। উত্তরে রঘুনন্দন ঠাকুর লেন। আবার জোড়াবাগান পেরিয়ে পূবে গেলেই প্রসন্নকুমার ঠাকুর স্ট্রিট। এর একশ গজ দক্ষিণে দ্বারকানাথ ঠাকুর লেন। দর্পনারায়ণ ও নীলমণি ঠাকুর দুই ভাই আমাদের পিতৃপুরুষের এই বসতবাটি স্থাপন করেন ১৭৬১ সালে পাথুরিয়াঘাটায়। এঁরা কান্যকুব্জ থেকে আগত ভট্টনারায়ণের এ

আরও পড়ুন

ফিরে যাওয়া

13 February, 2019 - 05:30:00 PM

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডঃ পবিত্র সরকার ১৯৮৮ থেকে শুরু হয়েছিল, আগে বার পাঁচ-ছয় যাওয়া হয়ে গেছে। কিন্তু ২০১০ থেকে ২০১৩-র মধ্যে আমি একটু ঘন ঘন বাংলাদেশ যাচ্ছিলাম। বছরে তিন-চার বার করে। শুধু টুরিস্টের মতো যাওয়া নয়, গিয়ে বিশ-পঁচিশ দিন থাকা। একটা কাজ চলছিল, সে কাজের কথাটা পরে আসবে। সে কাজ শেষ হয়েছে, কিন্তু এখনও যাতায়াত থামেনি, গিয়ে অতদিন থাকা না হলেও যাওয়া তো হয়ই বছরে কয়েকবার। বাংলাদেশ যাচ্ছি, এটা খুব জাঁক করে বলার মতো কিছু নয়। যদি বলতে পারতাম ঘন ঘন ব্রেজিল বা আইসল্যান্ডে যাচ্ছি, নিদেনপক্ষে আমেরিকা, তা হলে লোকে একটু সম্ভ্রম করত, আমিও, আমাদের  ছেলেবেলায় যেমন শিখেছিলাম, শার্টের কলার উঁচু করে, পথেঘাটে ঘুরে ব

আরও পড়ুন

SUBSCRIBE TO NEWSLETTER

SUSCRIBETE