ওহ কলকাতা! (২০২৪) ৩য় পর্ব
13 July, 2024 - By Editor Role
6 July, 2024 - 11:55:00 AM
সেলিম জাহান। অর্থনীতিবিদ ইউএনডিপির সাবেক পরিচালক। আমেরিকা মোড়টায় এসেই সন্দেহ হল ঠিক গলিতেই এসেছি তো। তারেক তো এ গলির কথাই বিশদভাবে বলে দিয়েছিলো। তবে শাঁখারী বাজারের সরু সরু গলির কোনটি যে কোনদিকে গেছে তা বোঝাই মুশকিল। সব গলিরই ওপরেই অন্ধকার গহ্বরের মত গায়ে গায়ে লাগা বাড়ীগুলো জীর্ণ এবং ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাওয়া। স্যাঁতস্যাঁতে এ গলিগুলো যে কতকাল সূর্যের আলো দেখে নি, কে জানে? দু'পা হেঁটেই বুঝলাম যে ঠিক গলিতেই এসেছি। এবার মেলাতে হবে নম্বর। কিন্তু বেশ কিছু হাঁটাহাঁটির পরেই বুঝলাম যে সে কাজটি সহজ নয়। ক্রমানুনিকভাবে কোন নম্বরই আসছে না। অত:পর শরণাপন্ন হতে হল এক পথচারীর। স্থানীয় লোক সহজেই বাতলে দিলেন যে এই সরু
আরও পড়ুন25 June, 2024 - 11:45:00 AM
সুজয় দত্ত ওহায়োর ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাক্রন-এ পরিসংখ্যানতত্ত্বের অধ্যাপক, আমেরিকা নিবাসী দুশো বাহাত্তর নম্বরের রুগী আজই ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট থেকে ছাড়া পেয়ে জেনারেল বেডে এসেছে। অবস্থার উন্নতিতে সকলের চোখেমুখে স্বস্তির ছাপ। আর ইন্ট্রাভেনাস নয়, এবার পথ্য খাবে। নিজের মুখে। জেনারেল ওয়ার্ডের মেট্রনের কাছ থেকে নির্দেশ যাচ্ছে রান্নাঘরে। কী কী খেতে বলেছেন ডাক্তারবাবু, কী কী দেওয়া বারণ। পাশে দাঁড়ানো একশো সাতান্নর আয়া। কাঁচুমাচু মুখ, বিব্রত, মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে। একটু আগেই সবার সামনে বকুনি খেয়েছে মেট্রনের। সেখানকার হার্টের রুগীকে আজ দুপুরে নুন ছাড়া খাবারের বদলে নুন দেওয়া খাবার খাওয়ানো হয়েছে ভুল করে। ওয়া
আরও পড়ুন6 June, 2024 - 11:20:00 AM
ডাঃ জিয়াউদ্দিন আহমেদঅধ্যাপক মেডিসিন এবং কিডনি বিভাগটেম্পলে বিশ্ববিদ্যালয়, ফিলাডেলফিয়া। প্রথম যখন ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা এলাম সে সময় ফিলাডেলফিয়ার আশেপাশে পশ্চিমবাংলার বেশ কিছু মানুষের সাথে পরিচয় হয়, ঘনিষ্ঠতা হল। এই সংযোগ ঘটিয়েছিলেন একজন প্রিয় মানুষ, এখন প্রয়াত, সুযশ গুহ রায়। তিনি বাংলাদেশি ফার্মাসিস্ট এবং ঢাকার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তার তিন বোনের মধ্যে দুই জনের মুক্তিযুদ্ধের আগেই কলকাতায় বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। আর পরবর্তী সময়ে দুই ভাই আর তিন বোন কলকাতায় থাকতেন। তবে বাবা-মা বাংলাদেশেই ছিলেন। স্বাভাবিক কারণেই দুই বাংলার মানুষের জন্য সুযশদার ছিল সমান ভালোবাসা। বাংলাদেশ কমিউনিটি তখন বে
আরও পড়ুন30 May, 2024 - 11:15:00 AM
সিলভীয়া পান্ডীত। আমেরিকা নিবাসী। কবি-সাহিত্যিক। প্রথম দেখা কলকাতায় আমাদের প্রথম দিন বিকেল বেলা দেখা হয়েছিল অমলেশদার সাথে। খুব fruitful ছিল এই দেখা। অমলেশদাকে আমি চিনি ২০২০ সাল থেকে। উনি আমার একটা লেখা পড়ে আমাকে Facebook-এ খুঁজে বের করেন তারপর থেকে দাদা আমার ভক্ত আর আমি দাদার। অমলেশদা হলেন জ্ঞাণের ভান্ডার, ওনার সাথে যত কথা বলি তত জ্ঞাণ আহরণ করি। চারদিনের সফরে পুরো একটা দিনের অর্ধেক দিন অমলেশদার সাথে কাটিয়েছি। দাদার সাথে গ্র্যান্ড হোটেলের swimming pool এর পাশে বসে আমি আর সালমা আড্ডা দিয়েছি এবং কফি খেয়েছি। সালমা ওর স্বভাব মত swimming pool-এর পানিতে পা ডুবাচ্ছিল আর মনের আনন্দে selfie তুলছিল তা
আরও পড়ুন18 May, 2024 - 11:15:00 AM
সিলভীয়া পান্ডীত। আমেরিকা নিবাসী। কবি-সাহিত্যিক। শাড়ি গল্প বেশ কিছুদিন ধরে আমি চাইছিলাম কলকাতায় যেতে। কিছুতেই ব্যাটে বলে মিলাতে পারছিলাম না তাই কলকাতা যাওয়া হচ্ছিল না। কলকাতায় যতবার গিয়েছি ততবার ফিরে আসবার সময় মনে মনে বলেছি “কলকাতা আবার আমি আসবো তোমার কাছে।” আমি অনেকবার আমার বন্ধু এবং কাছের মানুষদের বলেছি কলকাতা কেন আমার এত ভাল লাগে! কলকাতা কেন আমার প্রাণের শহর! প্রথমত আমার বাবা বর্তমান বাংলাদেশের কুমিল্লার ছেলে হয়েও কলকাতায় বড় হয়েছিলেন এবং যখন চাকরি করবার বয়স হয়েছিল তখন উনি কলকাতার বাটা কোম্পানিতে চাকরি করতেন এবং সে কারণে বাটা নগরীতে থাকতেন। ১৯৪৭ সালে যখন দেশ ভাগ হয়েছিল তখন উনি ফিরে এসেছি
আরও পড়ুন11 May, 2024 - 11:45:00 AM
সুজয় দত্ত ওহায়োর ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাক্রন-এ পরিসংখ্যানতত্ত্বের অধ্যাপক, আমেরিকা নিবাসী "কই রে কমলা, বাইরের ঘরটা ঝাঁট দেওয়া হল? এবার বারান্দায় আয়।" "এই হল বলে, বৌদি। খাটের তলায় ঝুল জমেছে অনেক, ঝ্যাঁটা দিয়ে পোস্কার করতিছি।" "দুর বাবা, এই সকালবেলা অফিসটাইমে তোকে ঝুল ঝাড়তে হবেনা, রান্নাঘরে একগাদা বাসন পড়ে আছে --" "আসতিছি গো আসতিছি। আগে তোমার তয়-তরকারীগুলো কেইটে দিই, তুমি রান্না বসাও, তারপর বাসনে হাত দেবোখন।" আশির দশকের মাঝামাঝি কলকাতার একপ্রান্তে মধ্যবিত্ত আবাসনে দুকামরার ছোট ফ্ল্যাট। রোজ সকালে ঘড়ি ধরে সোয়া ছটায় কাজে আসে কল্পনা। সেই শহীদ কলোনী বস্তি থেকে হাঁটতে হাঁটতে। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা। যদি না শর
আরও পড়ুন