ব্রাত্যজনের রুদ্ধসংগীত : দেবব্রত বিশ্বাস
22 August, 2020 - By Bangla WorldWide
17 August, 2020 - 02:30:00 PM
দুর্বিপাক বাঙালির কাছে নতুন নয়। চল্লিশের দশকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা দেখেছে সে। সে ছিল এক কঠিন সময়। ফের এক কঠিন সময়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে বাঙালি। এ বার অবশ্য লড়াই এক অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে। তার নাম নোভেল করোনাভাইরাস। কিন্তু পরিস্থিতি যেন সেই চল্লিশের দশকের স্মৃতিকেই উস্কে দিচ্ছে। ফের হাজির সেই ক্রান্তিকাল।
আরও পড়ুন15 August, 2020 - 03:15:00 AM
কলকাতা: মধ্যরাতের সেই ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণের সময় যখন "জওয়াহরলাল নেহেরু তাঁর 'স্বাধীন ভারতের প্রথম ঐতিহাসিক ভাষণ' দেওয়ার সময়, আমরা সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তে সংসদের দর্শনার্থীদের গ্যালারিতে বসেছিলাম। আমি, আমার কাকা শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সাথে গিয়েছিলাম। এমনটাই বলেন, ”বিচারপতি চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায়। যিনি তখন প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র ছিলেন এবং পরে বোম্বাই ও কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন14 August, 2020 - 07:20:00 AM
শিশুকাল হইতে বালক রবীন্দ্রনাথ খুব কঠোর শৃংখলাবদ্ধ ও অনুশাসনের মধ্যে বড় হয়েছিলেন। এমনকি রাত্রে নিদ্রার সময় ছাড়া বাড়ির অন্দরমহলে প্রবেশ করিতেন না বা অনুমতি ছিল না। সেরেস্তাঘর আর অন্দরমহলের মধ্যবর্তী মধ্য-মহলেই তাঁহাদের চলাফেরা সীমাবদ্ধ ছিল। আর অনুশাসনের ভিত্তি পূর্বক সকাল ছ'টা হইতে কুস্তি শিক্ষা থেকে শুরু হয়ে গান ও অধ্যয়ন পর্ব চলিত। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা আসিয়া তাঁহাদের শিক্ষাদান করিতেন এবং সর্বোপরি একজন অভিভাবক এর তত্ত্বাবধানে তাঁহাদের সর্বপ্রকার করণীয় বিষয় তদারকির ভার অর্পিত থাকিত। তিনি তথা পূর্বক কঠোরতা পালন করিতেন। ওই সমস্ত পাঠক্রমের ভিতরে বিজ্ঞান শিক্ষারও বিশেষ ব্যবস্থা ছিল।
আরও পড়ুন13 August, 2020 - 05:55:00 AM
বর্তমানে সারা বিশ্বে মহামারী আকারে করোনা এক ভয়ানক রূপ নিয়েছে। প্রতিটা মুহূর্তে মানুষ প্রখর উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে। এক অস্থির পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে মানুষ আজ দিন যাপন করছে। ভাল থাকার তাগিদে মানুষ আজ স্বেচ্ছায় নিজেদের গৃহবন্দী করে রেখেছে। প্রচুর মানুষ আজ কর্মচ্যুত হয়েছে, টান পড়েছে জীবন-জীবিকায়।
আরও পড়ুন10 August, 2020 - 04:45:00 AM
"হাতের মুঠোয় হাজার বছর, আমরা চলেছি সামনে"-এই স্লোগান নিয়েই ঢাকা থিয়েটার তাঁদের গৌরবের সাথে এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ এই "ঢাকা থিয়েটার"। বর্তমানে করোনা সারা বিশ্বের জনমানষে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে, থমকে গেছে মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্ম। আঘাত হেনেছে স্বাস্থ্য,শিক্ষা সহ সাংস্কৃতিক জগতে। এই করোনা আবহে "ঢাকা থিয়েটার" তাদের গৌরবময় ৪৭ তম বর্ষ উদযাপন করেছে সম্পূর্ণ ভার্চুয়াল মাধ্যমে।
আরও পড়ুন9 August, 2020 - 06:40:00 PM
খবরের কাগজ থেকে অবসর নেওয়ার পরে আমার নিজের স্কুল নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে পড়াচ্ছি। ক্লাস সিক্স-সেভেনের কচিকাঁচাদের জীবনবিজ্ঞান আর পরিবেশ বিজ্ঞনের ক্লাস নিচ্ছিলাম বেশ উৎসাহ নিয়ে। মাস খানেক ক্লাস নিয়েছি ঝাঁপ পড়ে গেল স্কুলের পঠনপাঠনের। করোনাকে হারানোর জন্য শুরু হয়ে গেল লকডাউন। প্রথমে ভেবেছিলাম জুন মাস থেকে বোধ হয় খুলে যাবে স্কুল। আবার নিতে পারব ক্লাস। কিন্তু হল না। এখন যা অবস্থা তাতে মনে হচ্ছে পুজোর আগে আর শুরু হবে না স্কুল।
আরও পড়ুন8 August, 2020 - 12:50:00 PM
পুজোর জন্য পুরস্কার, না কি পুরস্কারের জন্য পুজো! গত ২৬-২৭ বছর ধরে কলকাতার পুজোগুলির সঙ্গে ওতঃপ্রোতভাবে জড়িয়ে থেকেও এই ধাঁধাটার সমাধানই করতে পারলাম না। মনের খচখচানিটা রয়েই গেল।
আরও পড়ুন8 August, 2020 - 04:25:00 AM
প্রয়াত শ্রী শ্যামল চক্রবর্তীকে নিয়ে স্মৃতিচারণায় শ্রী অমর নাথ মিত্র বলেন, তাৎক্ষণিক আলাপও যে মানুষের স্মৃতি হয়ে থাকতে পারে, তার অন্যতম উদাহরণ শ্যামল চক্রবর্তী। আমার সাথে তাঁর ২০০৭ সাল নাগাদ চেন্নাই এয়ারপোর্টে দেখা হয়েছিল। আমি আসছিলাম মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে এবং শ্রী শ্যামল চক্রবর্তী ও শ্রী বিমান বসু আসছিলেন কলকাতার উদ্দেশ্যে। আমাদের প্লেন যেহেতু দু-তিন ঘন্টা দেরিতে ছিল তাই অনেকটা সময় কাটিয়ে ছিলাম একসাথে। তিনিও উত্তর কলকাতার মানুষ আর আমিও উত্তর কলকাতার ছেলে, সুতরাং জমিয়ে আড্ডা হয়েছিল। দুজনেই মোহনবাগানের সমর্থক, সেই নিয়েও অনেক কথা হয়েছিল।
আরও পড়ুন7 August, 2020 - 06:30:00 AM
এর মধ্যে একদিন নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের মাঠের পাশ দিয়ে আসছি। মনটা হু হু করে উঠল। জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে একটাও বাঁশ পড়েনি মাঠে। অন্য বছর পুজার মণ্ডপের আদলটা তৈরি হয়ে যায়। বোঝা যায় কী হতে যাচ্ছে। যেন প্রতিমা গড়ার খড়পর্ব শেষ। এরপরে দুই বার মাটি চাপাও, তারপরে রঙ কর, তারপরে সাজাও।
আরও পড়ুন6 August, 2020 - 01:40:00 AM
আগে জমিদারেরা দুর্গাপুজো করতেন। গায়ের মানুষ পেটপুরে সেখানে পুজোর চারদিন খেতেন। মেলা, যাত্রাপালা, কবিগানে মুখর হত পল্লি। সেই পুজোয় জমিদারদের মধ্যে বৈভবের লড়াই হত। লোক দেখানোর লড়াই। আলোর রোশনাই, আতস বাজির কারসাজি দিয়ে এক জমিদার অন্যকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করতেন। কে কত লোককে কত পদ খাওয়াতে পারলেন তার উপরে নাম ফাটত। গ্রামের মানুষগুলি কিন্তু নির্ভেজাল আনন্দ পেতেন। পুজোর কথা মনে হলেই রবীন্দ্রনাথের সেই কবিতাটার কথা মনে পড়ে যার প্রথম দুই লাইন হল - আশ্বিনের মাঝামাঝি, উঠিল বাজনা বাজি------।
আরও পড়ুন