সমর জয়ী (সমরেশ বসু জন্ম শতবর্ষ স্মরণে)
11 December, 2024 - By Editor Role
6 December, 2024 - 11:30:00 AM
কৃষ্ণা রায় বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষা, লেখিকা, পশ্চিমবঙ্গ। প্রথম পর্বের পর... তবে গোলাম মুরশিদের লেখার সূত্র ধরে দুটি প্রশ্ন উঠে আসে। এই ঘটনার পর মধুসূদন আর কত দিন ইংরেজীতে কাব্য চর্চা করেছিলেন আর বাংলা সাহিত্য চর্চা কবে থেকে শুরু হল? মধুসূদনের রচনাবলী খুঁজে যা পাওয়া যাচ্ছে, ১৮৪১-৪২ সাল থেকে ইংরেজী ভাষায় তাঁর অজস্র কবিতার সম্ভার ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত বহমান ছিল। এরই মধ্যে ভিন্ন ধর্মগ্রহণ, জীবনযাত্রার পালাবদল ইত্যাদিতে কবিতা লেখা সাময়িকভাবে বন্ধ হলেও নিজের কবিকৃতি সম্বন্ধে আত্মবিশ্বাসে তিলমাত্র ভাটা পড়েনি। প্রথম কাব্যগ্রন্থ, প্রকাশিত হয়েছে ১৮৪৯ সালে, সাংবাদিকতা করছেন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। লিখে
আরও পড়ুন5 December, 2024 - 12:00:00 PM
কৃষ্ণা রায় বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষা, লেখিকা, পশ্চিমবঙ্গ। এবছরের ২৫ জানুয়ারি আমরা পেরিয়ে এলাম মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মের দু'শ বছর আর মৃত্যুর সার্ধ শতবর্ষ পেরিয়ে গেছে গত বছরের ২৯ জুন। আজও বাঙালি জনমানসে তিনি রয়ে গেছেন মায়ায়-মমতায় এবং কিছুটা উপেক্ষায়। মাইকেল কোনদিন বাংলা ভাষার কবি হয়ে উঠতে চাননি। আকৈশোর তার স্বপ্ন ছিল সেক্সপিয়র, মিল্টন, বায়রণের মতো ইংরেজ কবি হবেন। সমকালের বাংলা সাহিত্যের প্রতি কোন রকম একাত্মতা বোধ করেননি। ঘনিষ্ঠ বন্ধুবৃত্তে একাধিকবার আলোচনা প্রসঙ্গে বাংলা ভাষা ভুলে গেছি বলে বড়াই করে খুব আত্মপ্রসাদ লাভ করতেন। অথচ বাংলা ভাষা তিনি শিখেছেন শৈশবে মায়ের কাছে, গ্রামের পাঠশালায়
আরও পড়ুন30 November, 2024 - 12:55:00 PM
সামিয়া মহসিন নাট্যকর্মী, আমেরিকা। ব্রিটিশ ভারতবর্ষে মুসলিম ধর্মান্ধ ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন পরিবেশে বেড়ে ওঠার পরও নারী শিক্ষার যুক্তি দেখিয়েছেন বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। তিনি আজও নারীদের অনুপ্রেরণার উৎস। তাঁর লেখা আজও নারীদের আন্দোলিত করে। আন্দোলিত হন নতুন প্রাণে, নতুনভাবে বেঁচে থাকার জন্য। নারীদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্যে। বেগম রোকেয়া এমনই এক মহীয়সী নারী যিনি তার যুগে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। নারীদেরকে নিজের দাঁড়াবার জন্য মনোবল তৈরি করতে হবে। তাঁর শাণিত বাক্যবাণ দিয়েই তিনি এই কঠিন ও বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়েছিলেন। বেগম রো
আরও পড়ুন26 November, 2024 - 01:20:00 PM
স্বপন সোম সঙ্গীত শিল্পী এবং সঙ্গীত গবেষক, পশ্চিমবঙ্গ। গত শতকের চারের দশকে কিংবদন্তি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সুচিত্রা মিত্রের ভারতীয় গণনাট্য সংঘের সঙ্গে সংযুক্তি তাঁর জীবন ও গানকে যেন এক অন্য রঙে রাঙিয়ে দিয়ে গেছে। আমরা পেয়ে যাই এক প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর যার আশ্রয় রবীন্দ্রনাথের গান এবং বিভিন্ন রচয়িতার গণচেতনার গান। বস্তুত রবীন্দ্রনাথের গানও যে বহু মানুষকে উদ্দীপিত করতে পারে, জীবন সংগ্রামে সাহস জোগাতে পারে তা গণনাট্য সংঘের সূত্রে দেখিয়ে দিয়েছিলেন সুচিত্রা মিত্র এবং তাঁর সতীর্থরা দেবব্রত বিশ্বাস, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। 'আমার মুক্তি আলোয় আলোয়', 'কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি', 'যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে' বা 'সা
আরও পড়ুন14 November, 2024 - 12:30:00 PM
নবকুমার বসু প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও চিকিৎসক, ইংল্যান্ড। প্রয়াণের সাড়ে তিন দশকেরও অধিক অতিক্রান্ত হওয়ার পরে বঙ্গসাহিত্য মাধ্যমে প্রাসঙ্গিক ভূমিকায় থাকা সম্ভবত আধুনিক বাংলা সাহিত্যের বিরল ঘটনা। সমরেশ বসু তথা কালকূট তাঁর জীবদ্দশার একেবারে শেষপ্রান্ত পর্যন্ত লিখতে লিখতে কলমটি সরিয়ে রেখেছিলেন ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দের ১২ মার্চ। তখন তাঁর বয়স চৌষট্টি বছর। আজ থেকে প্রায় ছত্রিশ বছর আগে। এই ডিসেম্বর মাসের ১১ তারিখে, জন্মদিনের হিসেব অনুযায়ী আমার প্রয়াত পিতৃদেবের (আর দু মাস পরে) জন্ম শতবার্ষিকীর পূর্তি আসছে। সাধারণত বাঙালি সাহিত্যিকরা বাঙালি পাঠকের মন থেকে মৃত্যুর এতো বছর পরে পুরোপুরি মুছে না-গেলেও, অনেকটাই ঝাপসা
আরও পড়ুন18 July, 2024 - 01:30:00 PM
কৃষ্ণা রায় অধ্যাপিকা ও লেখিকা প্রথম পর্বের পর... মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এম.বি. ডিগ্রি কাদম্বিনীর জীবনে অধরা-ই রয়ে গেল। আমল ব্রিটিশ আভিজাত্যে স্নাত অধ্যাপক ডা. রাজেন্দ্রচন্দ্র চন্দ্র কাদম্বিনীকে 'মিডওয়াইফারি' আর 'মেটিরিয়া মেডিকা'র মৌখিক পরীক্ষায় পরপর দুবার পাশের নম্বর দেননি। তবে কলেজের অধ্যক্ষ ড. কোটসের বদান্যতায় পেলেন জি বি এম এস ডিগ্রি। তাতেও কিছু হল না। কিছুদিন প্র্যাক্টিস করার পর বুঝলেন পরাধীন দেশের নারী চিকিৎসকের যথাযথ সম্মান-প্রতিষ্ঠা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে পাওয়া যাবে না। পেতে হলে বিদেশী ডিগ্রি দরকার। তখন তাঁর পাঁচটি সন্তান জন্মে গেছে। কনিষ্ঠ প্রভাতচন্দ্র মাত্র দেড় বছরে
আরও পড়ুন18 July, 2024 - 11:30:00 AM
কৃষ্ণা রায় অধ্যাপিকা ও লেখিকা বেশ কয়েক বছর আগে সূচিত্রা ভট্টাচার্যের "অলীক সুখ" নামে একটি উপন্যাসের চলচ্চিত্রায়ণ হয়েছিল। গল্পের নায়ক অসম্ভব উচ্চকাঙ্খী এক চিকিৎসক। ছাত্রজীবনে অতি মেধাবী, কর্মজীবনে দক্ষ শল্য চিকিৎসক বলে সমাজে তিনি নন্দিত, সুপ্রতিষ্ঠিত। কিন্তু উচ্চকাঙ্খার দৌড় শুরু করে বিবেক বিসর্জন না দিয়ে তাঁর উপায় ছিল না। কেরিয়ারের এক ক্রান্তি লগ্নে, এই সফল চিকিৎসকের সুনাম যখন প্রশ্নচিহ্নের সামনে দাঁড়িয়ে, তখন তাঁর-ই এক একদা অধ্যাপক প্রশ্ন করেন, সারাদিন পাঁচটা চেম্বার, প্রতিটিতে গড়ে দশ জন পেশেন্ট, কতটা সময় তুমি দাও তাদের এক একজনকে? এই আপাত নিরীহ প্রশ্নটি থেকেই ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত ভা
আরও পড়ুন29 June, 2024 - 02:30:00 PM
স্বপন মুখোপাধ্যায়বিশিষ্ট লেখক ও গবেষণাধর্মী প্রাবন্ধিক প্রথম পর্বের পর... ১৮৫৮ তে বেলগাছিয়ার নাট্যশালায় যখন রামনারায়ণ তর্করত্নের 'রত্নাবলী' নাটকটি ইংরেজিতে অনুবাদ করে প্রকাশ করার কথা ভাবা হল তখন গৌরদাস বসাক পুলিশ কোর্টের কর্মী মধুসূদনের কথা ভাবলেন কেন? মধুসূদনের ইংরেজি ইংরেজি জ্ঞান সম্পর্কে কেউ অবিদিত নন কারণ তার Captive Ladie প্রকাশিত হয়ে গেছে কিন্তু শুধু ই কিন্তু শুধু ইংরেজি জ্ঞান থাকলেই তো অনুবাদ করা যাবে না, বাংলা এবং সংস্কৃতও জানা প্রয়োজন। গৌরদাস মধুসূদনের বাংলা জ্ঞান সম্পর্কে নিঃসন্দেহ না হলে পাইকপাড়ার রাজাদের মধুকে অনুবাদের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য অনুরোধ করতেন না। কোন সন্দেহ নেই যে এরপর থে
আরও পড়ুন29 June, 2024 - 12:15:00 PM
স্বপন মুখোপাধ্যায় বিশিষ্ট লেখক ও গবেষণাধর্মী প্রাবন্ধিক শ্রীমধুসূদন বাংলার 'মাতৃ-ভাষা-রূপ খনি'র সন্ধান পান কবে? সেকি বিদেশে যাবার পর অর্থাৎ যখন তিনি ফ্রান্সের ভার্সেই শহরে, ১৮৬৫ তে? তখনি তিনি লেখেন তাঁর বিখ্যাত কবিতা 'বঙ্গভাষা'-হে বঙ্গ ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন। না, এই কবিতাটির জন্ম আরও চার বছর আগে। তখন তিনি বিদেশে আসেননি। ১৮৬১-তে যখন 'মেঘনাদবধ কাব্য' রচনা করেন তখনই তিনি একটি সনেট লেখেন, 'কবি-মাতৃভাষা'। এই কবিতাটি পরে পরিমার্জনা করে 'বঙ্গভাষা' নামে প্রকাশিত হয়। এই সনেটে তিনি লিখছেন,'নিজাগারে ছিল মোর অমূল্য রতন অগণ্য; তা সবে আমি অবহেলা করি...' অর্থাৎ কবি বঙ্গভাষার অমূল্য রত্নের আবিষ্কার করে নিজ প্
আরও পড়ুন11 June, 2024 - 11:45:00 AM
বিশ্বজিৎ মতিলাল বরিষ্ঠ গণজ্ঞাপন আধিকারিক ও সাংবাদিক, পশ্চিমবঙ্গ সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বিদেশী ছবি "ওপেনহাইমার" শহরে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। অনেকেই ছবিটি দেখেছেন, আলোচনা করেছেন, লেখালেখিও হয়েছে। এই ছবিটির প্রেক্ষিতে একটি বাংলা বই জনমানসে ফিরে এলো। বইটির নাম "বিশ্বাসঘাতক", লেখক নারায়ণ সান্যাল। উনি বহুদিন আগে এই বইতে পরমাণু বোমা, তার আবিষ্কার, তার জনক এবং আরোও অনেক তথ্য একত্রিত করেছিলেন। নারায়ণ সান্যাল ছিলেন এক অনন্য প্রতিভাশালী মানুষ, পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ও নেশায় লেখক। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, গবেষণামূলক রচনা এ সবই ছিল তার করায়ত্ত। লেখক নারায়ণ সান্যালের চাইতেও আমার কাছে অনেক বড় করে ধরা দিয়
আরও পড়ুন