বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাঙালির নিজস্ব মঞ্চ

জমে উঠেছে আগরতলা বইমেলা

20 February, 2019 - 09:15:00 PM

৩৭তম আগরতলা বইমেলা চলছে ১৫ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত। ১৯৮১ সাল থেকে শুরু হয়েছিল এই মেলা (মাঝে দুবছর হয় নি)। এবার স্টলের সংখ্যা ১৬০টি। স্থানীয় প্রকাশকদের প্রায় ৩০টি স্টল ছাড়াও কলকাতা, গুয়াহাটি, দিল্লি, মুম্বাই ইত্যাদি জায়গা থেকেও বিভিন্ন প্রকাশন সংস্থা মেলায় যোগ দিয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের স্টল আছে দুটি। বইমেলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কবি, সাহিত্যিকদের বেশ কয়েকটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। আয়োজিত হচ্ছে পুস্তকপ্রকাশ ও আলোচনার অনুষ্ঠান।    আগরতলা বইমেলা ত্রিপুরার একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন। বিভিন্ন জেলা মহকুমার মানুষও উৎসাহের সঙ্গে এই মেলায় যোগ দিতে আসেন। এবারেও আনন্দের আবহাওয়া শুরু হয়েছে মেলা। বি

আরও পড়ুন

বই পাড়ার বইপড়া কলেজ স্ট্রিট

19 February, 2019 - 07:23:00 PM

পুরনো কলকাতার গল্প লেখাপড়া আর আড্ডায় কলকাতার কলেজ স্ট্রিটের সাথে প্রায় সমস্ত মানুষের এক 'অলিখিত' সম্পর্ক। বাঙালির রন্ধ্রে বইয়ের গন্ধ, আর তার খনি- যা ফরাসি ভাসার "মাইন ডি লিভর" হচ্ছে আমাদের কলেজ স্ট্রিট বই পাড়া।     বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম 'সেকেন্ড-হ্যান্ড' বইয়ের বাজার এবং ভারতের বৃহত্তম বইয়ের বাজার হ'ল এটি। উত্তর- মধ্য কলিকাতার এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে অবস্থিত বইপাড়া বউবাজার অঞ্চলের গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ'র মোড় থেকে মহাত্মা গান্ধী রোডের মোড় পর্যন্ত প্রায় ১.৫ কি.মি. রাস্তার দুধারে প্রসারিত।     কলেজ স্ট্রিটের ইতিহাস প্রায় ২০০ বছরের পুরনো। লটারি কমিটির মাধ্যমে চারটি প্রধান axis road তৈরি করা ...

আরও পড়ুন

রবীন্দ্রনাথের পছন্দের গোয়ালন্দ চিকেন

19 February, 2019 - 06:25:00 PM

মৌসুমী পাল, রন্ধনশিল্পী জলপথ বিহারে, একের পর এক সৃষ্টি উঠে এসেছে রবীন্দ্রনাথের কলমে। কাব্য-সাহিত্যের সেই বিপুল সৃষ্টির মধ্যে কবিগুরুর এই জলপথ ভ্রমণের সময় জন্ম নিয়েছিল আহারের এক পদ। মাঝেমধ্যেই স্টিমারে চড়ে পদ্মায় ভেসে পড়তেন রবীন্দ্রনাথ। জলপথে যেতেন ওপার বাংলার গোয়ালন্দে। দীর্ঘ পথ। এমনই একটা দিন, রান্নার সময় পর্যাপ্ত জিনিস কম পড়ল। কবিগুরুর জন্য রান্না করতেন স্টিমারের চালক স্বয়ং। একদিকে স্টিমার চালানো, সেইসঙ্গে রান্না। মুরগীর মাংস রাঁধতে গিয়ে, সময় বাঁচাতে সেদিন অনেকটা বিরিয়ানির ধাঁচে আঁচে বসিয়ে দিলেন মাংসের সঙ্গে সেদ্ধ ডিম, আলু এবং অন্যান্য উপকরণ। তৈরি হয়ে গেল মুরগীর মাংসের এক নতুন পদ। সেটি খেয়ে

আরও পড়ুন

গঙ্গাজল ও গঙ্গাজলি নাড়ুর কথা

18 February, 2019 - 05:40:00 PM

লিখেছেন মৌ কয়াল, ফেসবুক পেজ: পুরনো কলকাতার গল্প আমোদিনী দাশগুপ্ত … চেনেন ? চেনেন না তো ? ঊনবিংশ শতাব্দীর এক বালিকাবধূ ,যে মাত্র ১২ বছর বয়সে তার পুতুলের সংসার ছেড়ে নিজের সংসারের সর্বময় কর্ত্রী হয়ে দক্ষতার সঙ্গে সংসারধর্ম পালন করেতে শুরু করেছিলেন এবং অভাবের সংসারেও পরম যত্নের সঙ্গে নয়টি সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করেছিলেন। তার আরো একটা শখ ছিল , দুপুরে সংসারের সবার রান্নাখাওয়ার পাট মিটলে মাটির উনুনের নিভু আঁচে রকমারি মিষ্টি ও মুখরোচক খাবার বানানো। একটা সময় ছিল, যখন বাংলার ঘরে ঘরে এমন আমোদিনীদের দেখা পাওয়া যেত। বাংলা তখনও ‘এপার’ আর ‘ওপার’ এই দুভাগে ভাগ হয়নি। লেখাটা পড়তে পড়তে আপনারও হয়তো আপনাদের ব

আরও পড়ুন

পুরনো কলকাতার থিয়েটার - হারিয়ে যাওয়া মঞ্চের সন্ধানে

18 February, 2019 - 05:35:00 PM

ফেসবুক পেজ : পুরনো কলকাতার গল্প   আটের দশকের শেষ। হাতিবাগান অঞ্চলে রমরমিয়ে চলছে বিশ্বরূপা, রংমহল, বিজন থিয়েটার, সারকারিনা ও রঙ্গনা। সপ্তাহের তিন দিন রাস্তার মুখে গাড়ি চলাচল বন্ধের বোর্ড । রাজা রাজকৃষ্ণ রোডে রঙের বাহার। কিন্তু সময়ের সংগে টিভির জনপ্রিয়তার ফলে হলগুলোতে ঘনিয়ে এলো অমাবস্যার অন্ধকার। একে একে সবই বন্ধ হয়ে গেল। বিশ্বরূপায় হলো আবাসন ও রংমহলে শপিং মল। ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে নির্বাক ভাবে ধ্বংসের প্রহর গুনছে বাকিরা। সরকারি আনুকূল্যে টিকে আছে মিনার্ভা, স্টার ও গিরীশ মঞ্চ। রাজা রাজকৃষ্ণ স্ট্রিট - সন্ধ্যায় যে রাস্তায় হলমুখী বা হলফেরত মানুষের ঢল নামত, আজ সেখানে অন্ধকার, শুধুই অন্ধকার। আর ...

আরও পড়ুন

বাঙালির ফুটবল : ঘটি-বাঙালের লড়াই করে কী হবে, ক্লাব আর ভারতীয় দলে বাঙালি কই?

14 February, 2019 - 10:00:00 PM

লেখক নির্মল নাথ অভিজ্ঞ ক্রীড়া সাংবাদিক     অফিসেই লেগে গেল ঘটি-বাঙালের লড়াই। এটা অবশ্য নতুন কিছু নয়। মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ এগিয়ে এলেই অফিসের সবাই জানেন, তাঁদের সামনেই শুরু হবে গৌরীবাড়ির শ্রীধরের সঙ্গে বাঘাযতীনের মিল্টুর লড়াই। ঘটি-বাঙালের লড়াই। এই লড়াইটা অবশ্য শেষ পর্যন্ত মিল্টু আর শ্রীধরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, দুই পক্ষের মধ্যে গলামেলাতে অনেক উৎসাহী জড়িয়ে পড়েন। তর্কাতর্কিতে একবার শ্রীধর বলেছিল, 'যতই আসিয়ান কাপ জেত আর পাঁচ গোল দে, ১৯১১ 'র শিল্ড জয়ের সেই স্বর্ণোজ্জ্বল অধ্যায়ের কাহিনী তোদের চোখ ছানাবড়া করে পড়তেই হবে। সারা দেশের মানুষ ওই কাহিনী পড়ে। সিনেমায় দেখে। এবার ১৯১১ 'র সেই শিল্

আরও পড়ুন

চিলেকোঠার নস্টালজিয়ায় আচার-বাহার

14 February, 2019 - 07:00:00 PM

লেখক রাজীব ঘোষ, বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং খাদ্য-গদ্যকার চিলেকোঠা মানেই গা ছমছম। ঠাকুমার আচারের বয়াম থেকে চুরি, কম বয়সে বড়দের বই, কিংবা সিগারেটে প্রথম টান। চিলেকোঠার ঘরে কত সুখস্মৃতি! সেই চিলেকোঠা যদি কোনও রেস্তোরাঁর  নাম হয় , তাহলে চমকপ্রদ কিছু আশা করব বইকি । তাই বলে বাখরখানি আর ভুনা মাটনের প্রত্যাশা ছিল না। খুলে বলছি । কলকাতায় বসে নোলার দোলায় পৌঁছে গেলাম ডোভার লেন। নামটা শুনলেই যেন বেজে ওঠে সেতার। গড়িয়াহাটের হুল্লোড় যদি ডিস্কোথেক হয়, ডোভার লেনের শান্তি নির্ঘাত উদারা–মুদারায় ধ্রুপদী। দু’‌পাশের বাড়িগুলোয় যেন আভিজাত্যের আতর মাখানো। দেবলীনা চক্রবর্তী, সেই সুদূর সিঁথি থেকে উজিয়ে এসে এখানেই খুলে ফেলেছে

আরও পড়ুন

ঠাকুরবাড়ি : স্মৃতির সরণি বেয়ে

13 February, 2019 - 08:40:00 PM

ঠাকুর পরিবারের সদস্য বিশিষ্ট সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ সন্দীপ ঠাকুর জার্মানি প্রবাসী ১৯৩১ সালে আমি যেখানে জন্মেছিলুম সেটা যেন একটা দ্বীপ; তবে তার চারপাশে জলের বদলে সব রাস্তা। আমাদের পূর্বপুরুষদের নামে সব রাস্তাঘাট ও গলি। দর্পনারায়ণ ঠাকুর স্ট্রিট এবং কালীকৃষ্ণ ঠাকুর স্ট্রিট চলে গেছে একেবারে দক্ষিণে। আর পশ্চিমে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর রোড। উত্তরে রঘুনন্দন ঠাকুর লেন। আবার জোড়াবাগান পেরিয়ে পূবে গেলেই প্রসন্নকুমার ঠাকুর স্ট্রিট। এর একশ গজ দক্ষিণে দ্বারকানাথ ঠাকুর লেন। দর্পনারায়ণ ও নীলমণি ঠাকুর দুই ভাই আমাদের পিতৃপুরুষের এই বসতবাটি স্থাপন করেন ১৭৬১ সালে পাথুরিয়াঘাটায়। এঁরা কান্যকুব্জ থেকে আগত ভট্টনারায়ণের এ

আরও পড়ুন

ফিরে যাওয়া

13 February, 2019 - 05:30:00 PM

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডঃ পবিত্র সরকার ১৯৮৮ থেকে শুরু হয়েছিল, আগে বার পাঁচ-ছয় যাওয়া হয়ে গেছে। কিন্তু ২০১০ থেকে ২০১৩-র মধ্যে আমি একটু ঘন ঘন বাংলাদেশ যাচ্ছিলাম। বছরে তিন-চার বার করে। শুধু টুরিস্টের মতো যাওয়া নয়, গিয়ে বিশ-পঁচিশ দিন থাকা। একটা কাজ চলছিল, সে কাজের কথাটা পরে আসবে। সে কাজ শেষ হয়েছে, কিন্তু এখনও যাতায়াত থামেনি, গিয়ে অতদিন থাকা না হলেও যাওয়া তো হয়ই বছরে কয়েকবার। বাংলাদেশ যাচ্ছি, এটা খুব জাঁক করে বলার মতো কিছু নয়। যদি বলতে পারতাম ঘন ঘন ব্রেজিল বা আইসল্যান্ডে যাচ্ছি, নিদেনপক্ষে আমেরিকা, তা হলে লোকে একটু সম্ভ্রম করত, আমিও, আমাদের  ছেলেবেলায় যেমন শিখেছিলাম, শার্টের কলার উঁচু করে, পথেঘাটে ঘুরে ব

আরও পড়ুন

SUBSCRIBE TO NEWSLETTER

SUSCRIBETE