স্বপ্ন ফেরি
26 February, 2021 - By Bangla WorldWide
19 February, 2021 - 03:25:00 PM
জনার্দন! ওরে জনা! গেলি কোথায়? ঝুল-বারান্দা থেকে ঝুঁকে পড়ে গলা ফাটিয়ে ডাকতে থাকি। কিন্তু আমার ড্রাইভার জনার্দনের কোনও সাড়াশব্দ নেই। গাড়ী লক করে দিয়ে সে কোথায় সটকে পড়েছে, কে জানে! পাড়ার ছোঁড়াগুলোই বা গেল কোথায়? তারাও ত একটু ডেকে দিতে পারত। আর হয়েছে এই এক সেলফোন…সেটি কাণে দিয়ে সারাক্ষণ বকবক করা হয়ে দাঁড়িয়েছে আজকালকার ছেলেছোকরাদের স্বভাব। জনার সেলফোন একটি আছে, কিন্তু কখনই ফোন করে তাকে পাই না। কারণ? ওতে নাকি শুধু কল করা যায় কিন্তু কল রিসিভ করা যায় না। সে আবার কি?
আরও পড়ুন16 February, 2021 - 03:20:00 PM
আমার বাবা আমার মার থেকে বয়সে প্রায় আঠারো বছরে বড় ছিল। মা ভীষন জিদ্দী মেয়ে ছিল। বিয়ের পর নতুন সংসার করতে এসে সংসারে মন বসাতে পারছিল না। বাবা তখন ধৈর্য নিয়ে মাকে সংসার করতে শিখিয়েছিল। সেটাই ছিল মার জন্য বাবার Valentine love.
আরও পড়ুন15 February, 2021 - 07:15:00 PM
বিপর্যয়ের ডাবল ডেকার: করোনা আর তুষার ঝড়ে বিপর্যস্ত জার্মানি
আরও পড়ুন2 February, 2021 - 07:46:00 PM
মোদের গরব মোদের আশা আ মরি বাংলা ভাষা
আরও পড়ুন29 January, 2021 - 02:40:00 PM
“অ্যাই ছেলে,” দিদা বলল, “এক্কেবারে অজগাঁয়ে এসে পড়েছিস। আর এসেছিস কি না বিদেশ থেকে ছুটি কাটাতে! এই জায়গাটা কিন্তু ভারি আজব।“ নিষ্পলক চোখে এতক্ষণ চেয়েছিল আবীর। নিঃশব্দে মাথা নেড়ে সায় দিল।
আরও পড়ুন28 January, 2021 - 03:22:00 PM
সালটা ১৯৪৫! ভারতেবর্ষের স্বাধীনতা প্রাপ্তির বছর দুয়েক আগের এ কাহিনী ! জীবন থেকে নেওয়া নির্ভেজাল সত্যি ঘটনা! আজ থেকে প্রায় পঁচাত্তর বছর আগের কথা আমি শুনেছি তাও প্রায় পচিঁশ বছর আগে ১৯৯৫ এর আশেপাশে কোন সময়ে আমার এক প্রিয় বন্ধুর বাবার মুখ থেকে যিনি স্বয়ং সেই ঘটনার মধ্যমণি!
আরও পড়ুন22 January, 2021 - 01:48:00 AM
বাড়িটা প্রথম বার দেখেই খুব পছন্দ হয়ে গিয়েছিল। ছোট্ট সুন্দর ছিমছাম তিন কামরার বাড়ি, একটা বেশ আধুনিক পল্লীর উপান্তে। সামনে পেছনে ছোট্ট বাগান, আর তার পরেই খোলা মাঠ । প্রচুর আলো হাওয়া, বেশ বড় বড় ঘর আর উঁচু সিলিং। বাড়ির মালিক চন্দনের বয়স বেশি না, চমৎকার ভদ্র ব্যবহার। চারধারে সবুজের মধ্যে হালকা গোলাপি রঙের দেয়াল আর নীল রঙের জানালার বাড়িটা বড় সুন্দর দেখাচ্ছিল সকালের আলোয়।
আরও পড়ুন11 January, 2021 - 04:42:00 PM
সঙ্গীত রিসার্চ একাডেমিতে গুরুমা বিদুষী মালবিকা কাননের কটা চোখের কড়া শাসনের মধ্যে দিয়ে যখন দিন কাটছে, ওই সময় এক দিন সন্ধ্যায় ছোট্টখাট্ট চেহারার এক মহিলা আমাদের গানের ঘরে ঢুকলেন।মুখটা দেখে বড্ডো চেনা চেনা লাগছিলো, গুরুজী কানন সাহেবের কথায় আরো ভালো করে চেনাগেলো। স্বনামধন্য সঙ্গীত শিল্পী আরতি মুখোপাধ্যায় এসেছেন গুরুমার সঙ্গে কথা বলতে। ওই সময় আরতি মুখোপাধ্যায় মানেই "না বলে এসেছি তা বলে ভেবোনা", "তখন তোমার একুশ বছর বোধ হয়" বা "বন্য বন্য এই অরণ্য"।
আরও পড়ুন8 January, 2021 - 03:40:00 PM
কালী মন্দিরের খোলা চাতালে শুয়ে আকাশটা দেখতে বেশ লাগে। নীলচে ধূষর জমিতে লক্ষ হীরের কুচি ছিটানো সামিয়ানা। একটু দূরে একটা চিতা দাউ দাউ জ্বলছে। বেশ ঘি ঢেলেছে বডিতে। মালদার লোক যে তা আত্মীয় স্বজনের পোশাক দেখেই মালুম হচ্ছিল। নিশুত রাতে মাঝ গঙ্গার বুকের ছমছমে সোহাগী হাওয়া কাঁপিয়ে দিচ্ছে থেকে থেকে লেলিহান শিখা, তাতে আবার জোরদার হয়ে উঠছে তার তেজ। ভুর ভুর করে ঘি মাখা চামরা পোড়া গন্ধ ভেসে আসছে। আহ! খারাপ লাগেনা তো আমার এই ঘ্রাণ! কলু ডোমের থুতু ভেজা লাল শালু মোড়া গাঁজার কল্কে থেকে কয়েক টান দিয়ে শরীরটা দারুন হালকা লাগছে। না দুঃখ না আনন্দ না দুশ্চিন্তা না খিদে না তৃষ্ণা। কেবল হাল্কা ভেসে থাকার একটা আনুভূতি।
আরও পড়ুন