নারী-পুরুষের ভেদ মুছে এগিয়ে চলুক নারীরা : সাদিকা ইয়াসমিন রচনা
6 March, 2019 - By Bangla WorldWide
5 March, 2019 - 04:30:00 PM
দেবাঞ্জনা মুখার্জি ভৌমিক, লন্ডন কীটনাশকের ব্যবহার বিপজ্জনক এবং অস্বাস্থ্যকর। ভারতবর্ষের বাজারে চকচকে ঝকঝকে সবজি বিক্রি করে যখন চাষী নিজে সেই সবজি মুখে তোলে না তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, সে জানে বাজারে দাম কম না রাখতে পারলে তার অন্ন জুটবে না। আর দাম কম রাখতে গেলে রাসায়নিক সার আর কীটনাশক ব্যবহার করতেই হবে। কলকাতা এবং শহরতলির বাসিন্দারা তাই টাটকা তাজা সবজি আর ফল পাওয়ার আশায় থাকেন না। তাঁরা বুঝে গেছেন, বিষসর্বস্ব সেইসব সবজি খেয়েই থাকতে হবে । আর কেউ যদি ভাগ্যবান হন তাহলে নিজের দু হাত জমি পেলে সেখানেই তৈরি করেন কিচেন গার্ডেন। ফলিয়ে ফেলেন পছন্দের সবজি। কিন্তু খোদ ইংল্যান্ডে যেখানে পেস্টিসাইড এর ক্ষ
আরও পড়ুন4 March, 2019 - 02:10:00 PM
ওয়েবডেস্ক, কলকাতা অঙ্কিতি বসু। বাঙালি পরিবারে জন্ম হলেও, বাংলার বাইরেই বেড়ে ওঠা। মুম্বইয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে অর্থনীতি ও গণিত নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। চাকরি জীবনের শুরু মার্কিন কনসাল্টিং সংস্থা ম্যাকিনজির মুম্বই শাখায়। সেখান থেকে যোগ দেন অন্য একটি মার্কিন সংস্থা সেকোয়া ক্যাপিটালসের বেঙ্গালুরু অফিসে। তেইশ বছর বয়সে বেঙ্গালুরুতেই বছর চব্বিশের ধ্রুব কপূরের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। আইআইটি গুয়াহাটি থেকে পড়াশোনা সেরে গেমিং স্টুডিয়ো কিউয়ি আইএনসি-তে সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে তখন কর্মরত ছিলেন ধ্রুব। চাকরি ছেড়ে নিজের মতো কিছু করার স্বপ্ন দেখেছিলেন দুজনেই। এবার সেই স্বপ্নকে মেলাতে হাতে হাত মেলালে
আরও পড়ুন20 February, 2019 - 09:05:00 PM
ডাঃ ভাস্কর দাশগুপ্ত। লন্ডনের প্রখ্যাত রিউম্যাটোলজিস্ট এবং সাউথএন্ড ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল ডিরেক্টর বাবা-মা থাকতেন বাংলার বাইরে, জামশেদপুরে। কিন্তু আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা এক বাঙালি সংস্কৃতি ও সাহিত্যকে জড়িয়ে। বাবা সবিতাভ দাশগুপ্ত ছিলেন জামশেদপুরের এক কিংবদন্তি ডাক্তার। তাঁর সম্পর্কো স্বল্প পরিসরে বলাই যায় না। আমার মা নীলিমা ছিলেন সবার এষাদি। ডাক্তারির পাশাপাশি তিনি ছিলেন ভালো গায়ক, অভিনেতা ও যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পী। দারুণ পিয়ানো বাজাতেন। এমনকি নানা অনুষ্ঠানে নাচের তালে পা-ও মেলাতেন। বাবা-মায়ের যুগলবন্দিতে আমাদের বাড়িই হয়ে উঠেছিল বাংলা সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম কেন্দ্র। বাবা গদ্য ও পদ্য দু'ট
আরও পড়ুন19 February, 2019 - 05:55:00 PM
লখনউ থেকে বটুক মহন্ত আমাদের ওখানে বাঙালিয়ানা আর বাংলা ভাষার চর্চা নিয়ে আমরা খুবই তৎপর। এমনকি কলকাতার চেয়েও বেশি। তার কারণ, আমরা প্রতি পদে প্রতি মুহূর্তে বাংলা ভাষা আর সংস্কৃতিকে মিস করি। আর তাই তাকে আরও বেশি করে আমাদের আর আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করি। আমাদের এখানে বেঙ্গলি ক্লাব আছে। আমরা সব উৎসব পালন করি। নজরুল, রবীন্দ্রনাথের নাচ-গান-কবিতা নিয়ে প্রায়ই অনুষ্ঠান করি। আমাদের এখানে শখানেক দুর্গাবাড়ি আছে যেখানে পুজো হয়। লখনউ, এলাহাবাদ, কানপুর সর্বত্র পুজো হয়। আমরা তো অতুলপ্রসাদ সেনের জায়গার লোক। এখানে অধিকাংশ পুজোই বেশ প্রাচীন। কোনও পুজো ৮০ বছরের, কোনও পুজো ১০০ বছর
আরও পড়ুন19 February, 2019 - 12:20:00 AM
শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায়, আমেরিকা প্রবাসী। কর্মসূত্রে বাংলা থেকে মার্কিন মুলুকে পা রেখেছিলাম একদিন। স্ত্রী-কন্যা আর মার্কিন নাগরিকত্ব নিয়ে আজ আমার স্থায়ী ঠিকানা আমেরিকা। তবে, আমার জন্মভিটে মালদহ এবং প্রাণের শহর কলকাতার সঙ্গে শিকড়ের যোগ আজও অটুট। ঠিক নিয়ম করে না হলেও, আমেরিকা থেকে দেশের মাটিতে আসা-যাওয়ায় ছেদ পড়েনি কোনওভাবেই। কিন্তু বন্ধু-বান্ধব, পরিজনদের কাছে আমার নামের আগে 'প্রবাসী' তকমাটা জুড়ে গিয়েছে। প্রবাসী বাঙালি। এই দুই শব্দের মধেই রয়েছে একটা মানুষের যাপন এবং মননের পরিবর্তনের ইঙ্গিত। আমাদের বাঙালিদের প্রবাসী জীবনকে এককথায় আমি বলি, দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, হয় ছাত্রাবস্থায়, ন
আরও পড়ুন18 February, 2019 - 09:50:00 PM
কানপুর থেকে কমল রায় ও লীনা বসু সুরেন্দ্রনাথ সেনের নামে এখানে একটা কলেজ আছে। আসলে উনি ছিলেন এখানকার একজন ডাক্তার। ওঁর উদ্যোগে অতুলপ্রসাদ সেন ও কেশব মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে স্থানীয় একটি পাঠাগারে বসে প্রায় একশ' বছর আগে প্রবাসী বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন তৈরি হয়। পরবর্তী কালে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল এতে যোগ দেন। নাম হয় নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন। সে ইতিহাস অনেকেরই জানা। আমার বলার উদ্দেশ্য হ'ল, সংগঠিতভাবে বাংলা সাহিত্য চর্চার শুরুটা এই কানপুরেই হয়েছিল। সেই শুরু। এখন কানপুরে বাংলা চর্চার কোনও অভাব নেই। বাঙালিদের অনেক সংগঠন রয়েছে। সবাই রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত চর্চা করি সারা বছর জুড়ে। কবিতা পাঠ হয়। কবিত
আরও পড়ুন18 February, 2019 - 09:25:00 PM
বিশাখাপত্তনম থেকে অনিন্দ্য পাল বিশাখাপত্তনমে ২৮ বছর প্রবাসী, বর্তমানে রাষ্ট্রীয় ইস্পাত নিগম লিমিটেড-এ ডিজিএম(আই টি) পদে কর্মরত।বিশাখাপত্তনমের একমাত্র সাহিত্য পত্রিকা পঁচিশ বছর উত্তীর্ণ “কথা”র প্রথম প্রকাশ থেকে সম্পাদক। লিখেছেন কবিতা, ছোটগল্প,নাটক। বিশাখাপত্তনমে মঞ্চস্থ বহু নাটকের নাট্যকার,অভিনেতা এবং পরিচালক। ভালবাসেন অচেনা জায়গা খুঁজে বার করে বেড়াতে। বিশাখাপত্তনমের ইস্পাতনগরীতে এসে যান্ত্রিক জীবনের বাহুডোরে নিজেকে সঁপে দিয়ে দিব্য ছিলাম। কিন্তু একদিন বিকেলে কারখানা থেকে ফিরতি পথে চিমনির পাশে অস্তগামী সূর্যের মারকাটারি আলোর সামনে ঘরমুখো একঝাঁক পাখির সিলুয়েট দেখে বাঁই করে মাথাটা ঘুরে গেল। ধেয়
আরও পড়ুন18 February, 2019 - 06:40:00 PM
লেখক অগ্নিভ একজন তথ্য-প্রযুক্তি ইঞ্জিনিয়ার। ২০০৯ সাল থেকে লেখক অগ্নিভ একজন তথ্য-প্রযুক্তি ইঞ্জিনিয়ার কর্মরত। সাহিত্যানুরাগী অগ্নিভ নাটক ও চলচ্চিত্র নির্দেশনার কাজে যুক্ত। সাল ২০১৪, সবে পুজো শেষ হয়েছে। আমরা কয়েকজন দুর্ভাগা যারা শরৎকালে নেদারল্যান্ডসের বৃষ্টি উপভোগ করছিলাম, ঠিক করলাম যে একটা ঘরোয়া বিজয়া সম্মিলনী করা যাক। হোয়াটসঅ্যাপের আলোচনা-মতো মেনু নিয়ে ভেন্যুতে পৌঁছে বেশ আনন্দ হচ্ছে, এমন সময় সেই মাহেন্দ্রক্ষণ উপস্থিত হলো। কে বেশ বললো, এই আনন্দের পরিবেশটা আর-একটু প্রসারিত করলে কেমন হয়? বেশ, ভালো কথা। কিন্তু, সেই যে হীরক রাজা বলে গিয়েছেন, “যার নাম নাই, তার কথার দাম নাই!" তাই সবার আগে দরকার এই ...
আরও পড়ুন14 February, 2019 - 09:35:00 PM
বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইড ওয়েব ডেস্ক: নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন। এর শুরুটা হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে। সেই সময় থেকে আজ। স্বকীয়তা বজায় রেখেই প্রবহমান এই প্রতিষ্ঠান। ২০১৮-র ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে কলকাতার নিউ টাউনে হয়ে গেল নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্যের ৯০তম সম্মেলন। এর উদ্বোধন করেন 'ভারতরত্ন' প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। উদ্বোধনী ভাষণে প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, "ভারতবর্ষ বলতে আমার চোখের সামনে ১৩০ কোটি মানুষের ছবি। অনেক ভাষা, অনেক ধর্ম- সব মিলিয়ে তাঁদের মধ্যে একটা একাত্মবোধ রয়েছে। সেটা হল তাঁরা ভারতীয়। বাংলা ও বাঙালি সম্পর্কেও একই কথা প্রযোজ্য। আমাদের মধ্যে স্ববিরোধিতা আছে। কিন্তু আমরা চলম
আরও পড়ুন13 February, 2019 - 09:20:00 PM
ইংল্যান্ড থেকে দেবাঞ্জনা মুখার্জি ভৌমিক সরস্বতী পুজোর রেশ এখনও কাটছে না। আসলে এতদিন আগে থেকে প্রস্তুতির পর হুট করে দিনটা চলে গেল সেটা মানতেই পারছি না। এবার তিথি-নক্ষত্র মিলিয়ে দু'দিন বসন্ত পঞ্চমী ছিল দিনের নানা সময়ে। সেটা ধরেই কোথাও আজ তো কোথাও কাল। পুজো যেদিনই হোক, মজা দু'দিনই হয়েছে। অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল বিভিন্ন বেঙ্গলি এসোসিয়েশনের তোড়জোড়। হয়তো ভাবছেন, এত আগে থেকে কিসের তোড়জোড়। কিন্ত পুজো করতে আর সবাইকে এক সাথে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠতে এখানে তো আর মোড়ের মাথায় প্যান্ডেল বাঁধা যায় না। অতএব ভাড়া নিতে হয় কোনও বড় হল ঘর। সেই সব হল ভাড়া করতে হয় অনেক আগে থেকেই। কারণ, যেখানে কয়েকশ' বাঙালি পুজ
আরও পড়ুন