বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাঙালির নিজস্ব মঞ্চ

নারীর সহ্যশক্তি অসীম, তাই আমিও নতুন জীবন শুরু করতে পেরেছি

25 December, 2020 - 02:42:00 PM

সংঘর্ষের পর সংঘর্ষ। জীবন উথাল-পাথাল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ যেমন দেখলাম, তেমনই আমার নিজের জীবনের মুক্তিযুদ্ধও লড়লাম। দেশের মুক্তিযোদ্ধারা কতটা বীর তা যেমন দেখলাম, তেমনই আমার শান্ত মা জীবনযুদ্ধে কত বড় বীরাঙ্গনা তাও দেখলাম। সবশেষে জীবনের এতগুলো বছর পেরিয়ে এখন আমি জানি, একজন নারী চাইলে সব পারে। সে যা পারে তা পুরুষরা চাইলেও পারবে না। পৃথিবীতে নারীই শ্রেষ্ঠ।

আরও পড়ুন

একাত্তরের সেইসব দিন-চতুর্থ পর্ব

24 December, 2020 - 02:22:00 PM

নদীপথের যাত্রা যতটা ঘটনাবহুল ছিল,হাঁটা পথ ততটা ঘটনাবহুল না হলেও দু একটি ঘটনায় আমাদের জীবন সংশয় হয়েছিল। শৈশবের ঘটনা স্মৃতিতে এখনও যতটা উজ্জ্বল,নিকট অতীতের স্মৃতি ততটাই ধূসর। তেমনি জলপথের তুলনায় পায়ে হাঁটার স্মৃতি অনকটাই ধূসর হয়ে গেছে। হাঁটা পথের শুরু থেকে ভারতীয় সীমান্ত পর্যন্ত কত কিলোমিটার জানি না। মাঝে মাঝে মনে হোত এই পথ যদি না শেষ হয়!মাইলের পর মাইল হাঁটার পর কোথাও থামতেই হোত কিছু খাওয়ার জন্য। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাঁটার পর সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়তাম। কারো কুঁড়েঘরে রাত কাটিয়ে পরদিন আবার পথচলা শুরু হোত। কুঁড়ে ঘরের মালিকরা আমাদের রুটি আর আঁখের গুড় খেতে দিতেন।

আরও পড়ুন

এত ক্ষুদ্র যন্ত্র হতে……

23 December, 2020 - 05:33:00 PM

সিদ্ধার্থ দেব, কুয়েত অয়েল কোম্পানির অবসরপ্রাপ্ত পেট্রোলিয়াম বিশেষজ্ঞ। মোবাইল ফোন, -এইটুকু একটা যন্ত্র! তার কি ক্ষমতা আর জনপ্রিয়তা। সকলের হাতে হাতে ঘুরছে; সে যেই হোক, পরম বিত্তশালী শিল্পপতি বা নিম্ন মধ্যবিত্ত কর্মচারী। অথচ এককালে ফোনের কি আকাল ছিল আমরা দেখেছি। ফোনের জন্য আবেদন করে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হত। তারপর একদিন দেবদূতের মত উদয় হতেন সরকারি ফোন কোম্পানির এক কর্মচারী। সগর্বে খবর দিতেন, -কাল আপনাদের বাড়িতে ফোন আসবে। উৎসবের বন্যা বয়ে যেত সারা বাড়ি। কর্মচারীটি “খুশি হয়ে দেওয়া চা-জলখাবারের সামান্য খরচ” পকেটস্থ করে চলে যেতেন, ফিরতেন পরের দিন সিনেমার হিরোর মত মেজাজে, সেই দুস্প্র

আরও পড়ুন

একাত্তরের সেইসব দিন-তৃতীয় পর্ব

23 December, 2020 - 02:50:00 AM

প্রায় আড়াই মাস তখনকার পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে আমরা এতদিন অস্তিত্ত্ব রক্ষা করতে পেরেছিলাম।এটা ছিল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আমাদের ব্যক্তিগত একটা অসম লড়াই। নৌকো ভাড়ার টাকা আমাদের ছিল না। বাবা কুদ্দুসকে শহরে পাঠালেন পোষ্ট অফিস থেকে টাকা তুলতে। সেখানে বাবার কিছু জমানো টাকা ছিল। একজন হিন্দুর সই থাকা সত্বেও কী করে টাকাটা পাওয়া গেল সেটাও একটা বিস্ময়। মাঝারি ধরনের একটি নৌকা ভাড়া করা হল। সব মিলিয়ে দশ জন নৌকা করে যাবো। কুদ্দুসও আমাদের সংগে গিয়েছিল,তবে ভারত সীমান্তে নয়,যেখানে নদী শেষ হয়ে হাঁটাপথ শুরু হয়েছে সেখানে ওর যাত্রাও শেষ। নৌকায় আমরা পাঁচ দিন পাঁচ রাত ছিলাম। কত নদী, কত গ্রাম,কত ভাসমান দ্বীপ পেরিয়ে নৌকা এগিয়ে চলছিল-আজ আর মনে নেই। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করবার মত মানসিক অবস্হা ছিল না। তবু মাঝে মাঝে সন্ধ্যেবেলায় মধুমতী নদী পেরুতে পেরুতে সন্ধ্যপ্রদীপ জ্বলতে দেখেছি,দুপুরে শঙ্খধ্বনিও শুনেছি। এখন কেমন আছো মধুমতী!

আরও পড়ুন

একাত্তরের সেইসব দিন-দ্বিতীয় পর্ব

22 December, 2020 - 04:11:00 PM

চরমগুরিয়া বন্দরটি কুমার নদীর তীরে অবস্হিত। নামটা যে এত মিষ্টি সেটা ভাবার মতো মানসিক অবস্হা ছিল না। ভোরবেলা আমরা নৌকো চেপে সেই দুর্গম গ্রামের দিকে যাত্রা শুরু করলাম। কুমার নদী দিয়ে নৌকো চলল ঘন্টাখানেক। তারপর বাঁদিকে ঢুকল বেশ বড় একটা খালে।

আরও পড়ুন

একাত্তরের সেইসব দিন-প্রথম পর্ব

21 December, 2020 - 04:35:00 PM

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অনেকেরই জানা আছে। আমি শুধু নিজের কথাই বলব, সঙ্গে সামান্য ইতিহাস। ১৯৭১ সালের ১লা মার্চ আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলাম, থাকতাম রোকেয়া হলে। তখন পশ্চিম পাকিস্তানের মেয়েরাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত। আমার এক সিন্ধী ও বাঙালি বন্ধুর সঙ্গে ঢাকা স্টেডিয়ামে সেদিন খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। বাঙালি বন্ধু মুনাওয়ার সুলতানা আমার জীবন থেকে হারিয়ে গেছে, কিন্তু সে আমার স্মৃতিতে আজও উজ্জ্বল। ওর কথাা লিখলাম কারণ ও শুধু আমার বন্ধু ছিল না,ছিল আত্মার আত্মীয়। ক্রিকেট খেলা ছিল পাকিস্তান বনাম এম সি সি র মধ্যে। ধারা ভাষ্যকার সিন্ধী বন্ধু খুব সুন্দর করে আমাদের খেলা বোঝাচ্ছিল। হঠাৎ দেখি গ্যালারির উল্টোদিকে আগুন লেগেছে।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ-একাদশ পর্ব

19 December, 2020 - 02:17:00 PM

আজ মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে যৌথ বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে নতজানু হয়ে ৯৩ হাজার যুদ্ধ বন্দি নিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজী। বিশ্বের ইতিহাসে এই প্রথম কোন দেশের সেনাবাহিনী লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় আত্মসমর্পণের ঘটনা ছিল এটি। পাকিস্তানকে এমন শিক্ষা অতীতে এবং আজ পর্যন্ত কেউ দিতে পারেনি। এতো বড় পরাজয়ের পরেও পাকিস্তানের স্বভাব বদলায় নি। আজকের দিনেই পৃথিবীর মানচিত্রে একটি নতুন স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটেছিল। বাঙ্গালীর জন্য সৃষ্টি হলো স্বাধীন আবাসভূমি। আর সেই নতুন রাষ্ট্রের জন্মের ক্ষেত্রে ধাত্রীর ভূমিকা পালন করেছিলেন ভারতের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। আজ মহান বিজয় দিবসের ঊনপঞ্চাশ বছর পূর্ণ হলো, পালিত হলো পঞ্চাশ তম বিজয় দিবস। আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য হয়েছিল।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ-দশম পর্ব

18 December, 2020 - 01:05:00 AM

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় উদয়পুরে যেসব আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এসেছিলেন, তাঁদের অধিকাংশই ছিলেন নোয়াখালী জেলার। আমার জানা মতে আব্দুল্লাহ আল হারুন চৌধুরী ও ক্যাপ্টেন সুজাত আলী ছাড়া অন্যরা সবাই ছিলেন নোয়াখালী জেলার বাসিন্দা। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিচালনার জন্য গঠিত হয়েছিল "বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা সংগ্রাম কমিটি"। কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন আবদুল মালেক উকিল এবং সচিব ছিলেন নরুল হক। সদস্যদের মধ্যে ছিলেন আজিজুল হক, শহিউদ্দিন ইস্কান্দার কচি, আবদুর রশিদ, অধ্যাপক মোহাম্মদ হানিফ,সাখাৎউল্লাহ,হাজী ইদ্রিস,আবু সাঈদ ও খাজা আহমেদ।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ-নবম পর্ব

17 December, 2020 - 01:05:00 PM

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ১৪ ডিসেম্বর একটি কালো দিন। এদিন পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং তাদের দোসর রাজাকার আলবদর বাহিনী মিলে ঢাকায় বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। পাকবাহিনী পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাঙ্গালীর মেধা ও মননের উপর আক্রমণ হানে। বুদ্ধিজীবী, প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই পাকিস্তান বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়েছেন। কিন্তু চৌদ্দ ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবী নিধনের ঘটনাটি ছিল পূর্ব পরিকল্পিত গণহত্যা। বিশ্বের ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায়। বাংলাদেশের মানুষ আজও দিনটিকে স্মরণ করেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ-অষ্টম পর্ব

16 December, 2020 - 12:30:00 PM

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনের ক্ষেত্রে আগরতলার শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীরা অনন্য অবদান রেখেছিলেন। ৩০শে মার্চ,১৯৭১ সুধী সমাজের আহ্বানে আগরতলায় বাংলাদেশের মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে একটি বিরাট মিছিল হয়। এপ্রিল মাসে উদয়পুরেও ছাত্রদের একটি মিছিল সংগঠিত হয়েছিল। এই মিছিলে ছাত্র পরিষদ, ছাত্র ফেডারেশন সহ সব অংশের ছাত্রছাত্রীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল।

আরও পড়ুন

SUBSCRIBE TO NEWSLETTER

SUSCRIBETE