আস্ত গান লোকটা
18 February, 2025 - By Editor Role
15 February, 2025 - 11:30:00 AM
বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইড প্রতিবেদন সম্মেলনের মূল থিম ছিল 'বোঝাপড়ায় ভরসা বাড়ায়'। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাঙালিদের মধ্যে বোঝাপড়ার অন্যতম হাতিয়ার বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইড প্রকাশিত শারদীয়া সাহিত্য পত্রিকা 'মা তোর মুখের বাণী'। এই পত্রিকার নামকরণ যাঁর, সেই বিখ্যাত ভাষাবিদ তথা বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইডের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এই পত্রিকার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক পবিত্র সরকার, যখন লেখকদের হাতে সম্মান স্মারক তুলে দেন তখন সেই অনুষ্ঠানের গুরুত্ব বেড়ে যায়। আর ষোলোকলা পূর্ণ হয়ে যায় যখন মঞ্চে উপস্থিত থাকেন যুক্তরাজ্য থেকে আগত চিকিৎসক-সাহিত্যিক 'মা তোর মুখের বাণী'-র উপদেষ্টা তথা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ডাঃ নবকু
আরও পড়ুন7 January, 2025 - 11:30:00 AM
বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইড প্রতিবেদন রবীন্দ্রসঙ্গীত শুধু গানের ধারা নয়, এটি বাঙালির আত্মপরিচয়ের প্রতীক। বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইড রবীন্দ্রসঙ্গীতের সেই গভীরতাকে ছুঁতে আয়োজন করেছে চারদিনব্যাপী বিশেষ ওয়ার্কশপ ‘দাও গো সুরের দীক্ষা’। দুই বাংলার বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী পদ্মশ্রী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার তত্ত্বাবধানে এই ওয়ার্কশপটি আয়োজিত হবে। এছাড়াও পন্ডিত অমিয় রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, অধ্যাপক পবিত্র সরকার, ডা: নবকুমার বসু, ডা: দুলাল বসু, অধ্যাপক পার্থ ঘোষ এবং অধ্যাপক ড. অরুময় বন্দ্যোপাধ্যায়-এর মত বিশেষজ্ঞরা উচ্চারণ, কন্ঠচর্চা, গায়কি, স্বরক্ষেপণ ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবেন। সুরের জগতকে আরও সমৃদ্ধ করতে এই উদ
আরও পড়ুন3 January, 2025 - 11:30:00 AM
স্বপন সোম সঙ্গীত শিল্পী এবং সঙ্গীত গবেষক, পশ্চিমবঙ্গ। গত শতকের চারের দশকে কিংবদন্তি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সুচিত্রা মিত্রের ভারতীয় গণনাট্য সংঘের সঙ্গে সংযুক্তি তাঁর জীবন ও গানকে যেন এক অন্য রঙে রাঙিয়ে দিয়ে গেছে। আমরা পেয়ে যাই এক প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর যার আশ্রয় রবীন্দ্রনাথের গান এবং বিভিন্ন রচয়িতার গণচেতনার গান। বস্তুত রবীন্দ্রনাথের গানও যে বহু মানুষকে উদ্দীপিত করতে পারে, জীবন সংগ্রামে সাহস জোগাতে পারে তা গণনাট্য সংঘের সূত্রে দেখিয়ে দিয়েছিলেন সুচিত্রা মিত্র এবং তাঁর সতীর্থরা দেবব্রত বিশ্বাস, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। 'আমার মুক্তি আলোয় আলোয়', 'কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি', 'যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে' বা 'সার
আরও পড়ুন27 December, 2024 - 11:09:00 AM
পলাশ বন্দোপাধ্যায় শিশু ও নবজাতক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, পশ্চিমবঙ্গ। প্রথম পর্বের পর... বিরূপাক্ষর এতক্ষণে খেয়াল হলো, যে হলুদ দামি টাওয়েল নিয়ে তিনি স্নানে ঢুকেছিলেন, তার বদলে তাঁর হাতে এখন একটা তেল চিটচিটে পুরোনো লাল গামছা। পিতলের সাবানদানিটা অনেক পুরোনো। তার উপরে হালকা সোনালি রঙের বলের মতো দেখতে একটা হলদেটে সাবান, যা তিনি কোনোদিন দেখেননি। তাঁদের ছোটবেলায় 'বাটি সাবান' বলে একটা অত্যধিক ক্ষারযুক্ত কাপড় কাচার সাবান তাঁর বাড়িতে ব্যবহৃত হতো। কিন্তু এ বস্তু সে বস্তু নয়। তুলনায় অনেক নরম ও সুগন্ধযুক্ত। স্নান শেষে অন্যমনস্কভাবে অভ্যাসবশত দরজার ছিটকিনি খুলতে গিয়ে দরজার উপরের নির্ধারিত স্থানে হাত দিয়ে আবার চমক
আরও পড়ুন26 December, 2024 - 11:30:00 AM
পলাশ বন্দোপাধ্যায় শিশু ও নবজাতক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, পশ্চিমবঙ্গ। এখন বাগবাজার বাটা যেখানে, তার ঠিক পিছনে কয়েক পুরুষ ধরে চলে আসা অধুনা সোনার কারবারি বিরূপাক্ষ বসাকের, গয়নার দোকান বসাক জুয়েলারি। সঙ্গে বাগান সমেত পুরোনো বনেদি বাড়ি। আজকের জাঁকজমকের যুগে ব্র্যান্ডেড জুয়েলারিগুলোর ঠাটবাটের কাছে এ দোকান জৌলুসহীন, যদিও একসময় এর খুব নামডাক ছিল। সে যুগে অভিজাত বাঙালি ও সাহেবসুবোরা স্ত্রী, বান্ধবীদের নিয়ে এখানে শুধু গয়না কিনতেই নয়, নিখাদ আড্ডা মারতেও আসতেন। পুরোনো কলকাতার ইতিহাস এমনটাই বলে। এখন বিরূপাক্ষর বয়স ষাট ছুঁই ছুঁই। শরীরের বাঁধন ভালোই। তিনিই শেষ বংশধর হিসেবে এই দোকানটি টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর একমাত
আরও পড়ুন23 December, 2024 - 11:05:00 AM
নবকুমার বসু প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও চিকিৎসক, ইংল্যান্ড। প্রথম পর্বের পর... একদিন খ্যাতিমান উদার গঙ্গোপাধ্যায় লেখক মশায়টির গৃহে হাজির হলাম। গড়িয়াহাটের বহুতল বাড়ির দশতলা। সংকোচ নিয়েই গেছি। ব্যস্ত লেখক। তাঁর সময় নষ্ট করার দ্বিধা আমার নিজের মধ্যেই বেশি। কিন্তু তিনি কনিষ্ঠ কলমিচিটিকে নিরাশ করলেন না। সুতরাং আমি অকপট হলাম। বললাম, রামকৃষ্ণ ঘরনী শ্রীমা সারদামণির জীবন অবলম্বনে উপন্যাস লিখতে চাই। দু-এক মুহূর্ত চুপ করে থেকে সুনীল চোখ তুলে তাকিয়ে দেখলেন অধমের দিকে। বোধহয় জরিপ করতে চাইলেন আমার সঙ্কল্পের দৃঢ়তা, একাগ্রতা... এবং হয়তো যে-কথা বলছি তার ওজন ও অভিঘাত সম্পর্কে কতটা সতর্ক এবং সচেতন আমি। তারপর একটাই প্র
আরও পড়ুন22 December, 2024 - 11:05:00 AM
নবকুমার বসু প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও চিকিৎসক, ইংল্যান্ড। অনেক দিন আগে দক্ষিণ ভারতে বেড়াতে গেছি। কন্যাকুমারিকা থেকে বিবেকানন্দ শিলা দেখতে যাচ্ছি। সমুদ্রে ওই সংক্ষিপ্ত জলপথ যাত্রাটিও তখন খুব সুগম ছিল না। ঢেউয়ে দোদুল্যমান ছোট নৌকা ভারতের মানচিত্রের নিম্নতম বিন্দু থেকে রওনা হয়ে কয়েক মিনিটে বিবেকানন্দ শিলা নামের সেই অনুচ্চ পাহাড়টিতে পৌঁছে দিত। সম্ভবত নব্বই-পচানব্বই বছর আগে বিবেকানন্দ সেই তৎকালীন পাথরে টিলাটির ওপরে বসে সামুদ্রিক বিচ্ছিন্নতা ও নীরবতার মধ্যে ধ্যান করেছিলেন। পরবর্তীকালে সেটি সাজিয়ে গুছিয়ে, পরিচ্ছন্ন করে সংগ্রহশালার চেহারায় একটি দর্শনীয় স্থান হিসাবে গড়ে তোলা হয়। নৌকা থেকে নেমে আমরা খালি পা
আরও পড়ুন11 December, 2024 - 11:30:00 AM
সৌম্যেন বসু শ্রুতিনাট্যকার, আকাশবাণী কলকাতার প্রাক্তন সহ-অধিকর্তা, পশ্চিমবঙ্গ। তোমারও একটা ধূসর বাল্য ছিল সুরথনাথ জন্মমাটির সীমানা ডিঙনোর আগে ৷ জানতে কি সে কথা? মেজাইরা বোঝেনি সেদিন নৈহাটির টালির ঘরে আকন্ঠ দারিদ্রে ডুবে নিজের নিয়তি লিখছিলে সাদায় কালোয় ৷ জীবনকে পোড়াতে পোড়াতে সেই অঙ্গারে জন্ম দিলে সাহিত্যের সজীব বর্ণমালা ৷ বড় প্রেমিক ছিলে তুমি ৷ বড় সুপুরুষ ৷ দারিদ্র কী প্রেমিক করে? তাই কি রক্ত-ঘামের সাথে ছিল তোমার লাল-মুষ্ঠি অঙ্গীকার? মানুষ দেখেছ জীবনভর মানুষ খুঁজেছ কুম্ভের মানব-সাগরে ৷ অমৃত আর গরলের অন্বেষায় কালকূট হয়েছ তুমি ৷ বড় বিতর্কিত ছিলে ৷ জীবনে, জীবন-লেখা
আরও পড়ুন6 December, 2024 - 11:30:00 AM
কৃষ্ণা রায় বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষা, লেখিকা, পশ্চিমবঙ্গ। প্রথম পর্বের পর... তবে গোলাম মুরশিদের লেখার সূত্র ধরে দুটি প্রশ্ন উঠে আসে। এই ঘটনার পর মধুসূদন আর কত দিন ইংরেজীতে কাব্য চর্চা করেছিলেন আর বাংলা সাহিত্য চর্চা কবে থেকে শুরু হল? মধুসূদনের রচনাবলী খুঁজে যা পাওয়া যাচ্ছে, ১৮৪১-৪২ সাল থেকে ইংরেজী ভাষায় তাঁর অজস্র কবিতার সম্ভার ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত বহমান ছিল। এরই মধ্যে ভিন্ন ধর্মগ্রহণ, জীবনযাত্রার পালাবদল ইত্যাদিতে কবিতা লেখা সাময়িকভাবে বন্ধ হলেও নিজের কবিকৃতি সম্বন্ধে আত্মবিশ্বাসে তিলমাত্র ভাটা পড়েনি। প্রথম কাব্যগ্রন্থ, প্রকাশিত হয়েছে ১৮৪৯ সালে, সাংবাদিকতা করছেন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। লিখে
আরও পড়ুন5 December, 2024 - 12:00:00 PM
কৃষ্ণা রায় বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষা, লেখিকা, পশ্চিমবঙ্গ। এবছরের ২৫ জানুয়ারি আমরা পেরিয়ে এলাম মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মের দু'শ বছর আর মৃত্যুর সার্ধ শতবর্ষ পেরিয়ে গেছে গত বছরের ২৯ জুন। আজও বাঙালি জনমানসে তিনি রয়ে গেছেন মায়ায়-মমতায় এবং কিছুটা উপেক্ষায়। মাইকেল কোনদিন বাংলা ভাষার কবি হয়ে উঠতে চাননি। আকৈশোর তার স্বপ্ন ছিল সেক্সপিয়র, মিল্টন, বায়রণের মতো ইংরেজ কবি হবেন। সমকালের বাংলা সাহিত্যের প্রতি কোন রকম একাত্মতা বোধ করেননি। ঘনিষ্ঠ বন্ধুবৃত্তে একাধিকবার আলোচনা প্রসঙ্গে বাংলা ভাষা ভুলে গেছি বলে বড়াই করে খুব আত্মপ্রসাদ লাভ করতেন। অথচ বাংলা ভাষা তিনি শিখেছেন শৈশবে মায়ের কাছে, গ্রামের পাঠশালায়
আরও পড়ুন