অগ্নিবৃক্ষ তিনি, আমরা বহ্ন্যুৎসবের প্রত্যক্ষদর্শী (সমরেশ বসুর জন্মশতবর্ষে)
14 November, 2024 - By Editor Role
14 November, 2024 - By Editor Role
12 November, 2024 - 12:26:37 PM
রামেন্দু মজুমদার বিখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশ। একটা অস্থির সময়ে বসে সমাজের সুস্থতা নিয়ে ভাবনা লিপিবদ্ধ করা সত্যিই কঠিন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে আমাদের সামনে একটা সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসের রক্তাক্ত অভিজ্ঞতা আমাদেরকে একটা নতুন প্রভাতের সামনে দাঁড় করিয়েছিল। স্বজন হারানোর বেদনা বুকে ধারণ করে আমরা সমস্ত দেশবাসী আন্তরিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, আগামী দিনগুলোতে সকল দুঃখ-কষ্ট আমরা সমানভাবে ভাগ করে নেব। সংবিধানে লিপিবদ্ধ হবার আগেই আমরা স্থির করেছিলাম সমাজে কোন বৈষম্য থাকবে না, ধর্মকে আমরা রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত হতে দেব না, পরিবার ও সমাজে আমাদের যুগ যুগ ধরে ধারণ করা মূল্যবোধগুলোকে আ
আরও পড়ুন11 November, 2024 - 11:00:00 AM
অধ্যাপক ড: পবিত্র সরকার বিশিষ্ট ভাষাবিদ, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য, পশ্চিমবঙ্গ। প্রথম পর্বের পর... ৩. সামাজিক-পারিবারিক=প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক ও ভাষার শিষ্টাচার পারিবারিক সম্পর্কের মধ্যে একটা শক্তিপরম্পরা থাকে তা আমরা জানি। তার মধ্যে আবার স্ত্রীপুরুষের অবস্থানের প্রশ্নটিও জড়িয়ে যায়। বাঙালি স্বামীদের মুখে স্ত্রীদের বলা 'যা বোঝ না তা নিয়ে কথা বলতে এসো না'-একটি অতি পরিচিত সংলাপ। ছোটরা বা সমাজে তলার লোকেরা 'ছোট মুখে বড় কথা' বলার জন্য প্রচুর ধমক খায়। পাশ্চাত্যের লেখাপড়া করা আর কিছুটা গণতান্ত্রিক সমাজের চেয়ে আমাদের সমাজে শ্রেণিপরম্পরা অনেক বেশি। এই জাতপাত আর শ্রেণিবিভক্ত সমাজে ব
আরও পড়ুন9 November, 2024 - 02:30:00 PM
অধ্যাপক ড: পবিত্র সরকার বিশিষ্ট ভাষাবিদ, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য, পশ্চিমবঙ্গ। ১. প্রথম ক-টি কথা ভাষার শিষ্টাচার সামাজিক শিষ্টাচারেরই একটি অঙ্গ। অর্থাৎ দুজন বা একাধিক সামাজিক মানুষ একত্রিত হলে, তাদের মধ্যে শত্রুতার কোনও সম্পর্ক না থাকলে, আচরণে যে শিষ্টাচার ও সৌজন্য প্রত্যাশিত, ভাষাব্যবহারেও তার প্রতিফলন ঘটে। শত্রুতা থাকলে তো কোনও শিষ্টাচারের প্রশ্নই নেই, সেখানে ভাষাপ্রয়োগ গালাগালের চেহারা নেওয়ার কথা, এবং তাতেও হয়তো আদানপ্রদান থেমে থাকে না। শত্রুতা না থাকলেও কোনও কারণে দূরত্ব বা অবজ্ঞা বা বিদ্বেষ থাকতেই পারে, ফলে এক জন আর-একজনকে দেখে মুখ ঘুরিয়ে চলে যেতেই পারে। এই 'এড়িয়ে য
আরও পড়ুন20 July, 2024 - 11:45:00 AM
সুতপন চট্টোপাধ্যায় বিশিষ্ট লেখক আলাসিন বাস স্ট্যান্ডে নেমে ব্যাগ হাতে পশ্চিমমুখো হাঁটতে শুরু করল বিজয়া। ঝকঝকে সকাল গড়িয়ে দুপুরের তাপ বাড়বে বাড়বে করছে। সাড়ে দশটা কি এগারটা। বাস স্ট্যান্ডে তেমন লোকজন নেই। বর্ষা এখনও শুরু হয়নি। রাস্তার ধুলো উড়ছে হাল্কা হাওয়ায়। স্ট্যান্ডের স্টার্টার লোকটি বলল, কোন গাঁয়ে যাবেন দিদি? বিজয়া বলল, কেন বলুন তো? লোকটি বলল, না। ছাতা হাতে নেই তাই জিজ্ঞেস করছি। কাছাকাছি গ্রামে গেলে জিজ্ঞেস করতুম না। দূরে গেলে ছাতা লাগবে। যা কাটফাটা রোদ! বিজয়ার মনে পড়ল, তার সঙ্গে ছাতা নেই। মানুষটি ভাল। তাকে উত্তর সে লজ্জিত গলায় বলল, ছাতা নেই। পেলে তো ভাল হয়। মাধবপুর যাব। মাধবপুর? কার বাড়ি? জ
আরও পড়ুন16 July, 2024 - 01:30:00 PM
ড: দেবদূত ঘোষঠাকুর আনন্দবাজার পত্রিকার প্রাক্তন চিফ রিপোর্টার ও লেখক মনে কর যেনহেলিকপ্টারে চেপে যাচ্ছি আমি কিলোমিটার মেপে।তুমি তখন মেঘের ভেলায় বসে যাচ্ছ যেন আমার পাশে পাশে। উঠে এসি বাসে চোখে যেন অনেক স্বপ্ন ঘুরেফিরে আসে ভুল করে তাই হাতটা গেল থেকে সুইং ডোরটা হুড়মুড়িয়ে আসে। তুমি তখন জানলাখানি খুলে ভাবতে ছিলে আমার কথাখানি। আমি তখন কাঁপছি থেঁতলে গেছে আমার হাতখানি। গলগলিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসে, আমি তখন মরছি ভীষণ ত্রাসে। আমি ভয়ে চোখটি বুজে রই, বুক ধড়ফড় প্রাণটা গেল এই। এমন সময় সকলে যায় সরে বলিষ্ঠ এক হাতআমায় ধরে এক ঝটকায় বসিয়ে দিল সিটে ভাবছি সব আঙুল গেল কেটে।। তুমি ভাবছো উঠলাম ঘুম দিয়ে ঘুম কোথায়? চিন্তা আ
আরও পড়ুন29 June, 2024 - 02:30:00 PM
স্বপন মুখোপাধ্যায়বিশিষ্ট লেখক ও গবেষণাধর্মী প্রাবন্ধিক প্রথম পর্বের পর... ১৮৫৮ তে বেলগাছিয়ার নাট্যশালায় যখন রামনারায়ণ তর্করত্নের 'রত্নাবলী' নাটকটি ইংরেজিতে অনুবাদ করে প্রকাশ করার কথা ভাবা হল তখন গৌরদাস বসাক পুলিশ কোর্টের কর্মী মধুসূদনের কথা ভাবলেন কেন? মধুসূদনের ইংরেজি ইংরেজি জ্ঞান সম্পর্কে কেউ অবিদিত নন কারণ তার Captive Ladie প্রকাশিত হয়ে গেছে কিন্তু শুধু ই কিন্তু শুধু ইংরেজি জ্ঞান থাকলেই তো অনুবাদ করা যাবে না, বাংলা এবং সংস্কৃতও জানা প্রয়োজন। গৌরদাস মধুসূদনের বাংলা জ্ঞান সম্পর্কে নিঃসন্দেহ না হলে পাইকপাড়ার রাজাদের মধুকে অনুবাদের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য অনুরোধ করতেন না। কোন সন্দেহ নেই যে এরপর থে
আরও পড়ুন29 June, 2024 - 12:15:00 PM
স্বপন মুখোপাধ্যায় বিশিষ্ট লেখক ও গবেষণাধর্মী প্রাবন্ধিক শ্রীমধুসূদন বাংলার 'মাতৃ-ভাষা-রূপ খনি'র সন্ধান পান কবে? সেকি বিদেশে যাবার পর অর্থাৎ যখন তিনি ফ্রান্সের ভার্সেই শহরে, ১৮৬৫ তে? তখনি তিনি লেখেন তাঁর বিখ্যাত কবিতা 'বঙ্গভাষা'-হে বঙ্গ ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন। না, এই কবিতাটির জন্ম আরও চার বছর আগে। তখন তিনি বিদেশে আসেননি। ১৮৬১-তে যখন 'মেঘনাদবধ কাব্য' রচনা করেন তখনই তিনি একটি সনেট লেখেন, 'কবি-মাতৃভাষা'। এই কবিতাটি পরে পরিমার্জনা করে 'বঙ্গভাষা' নামে প্রকাশিত হয়। এই সনেটে তিনি লিখছেন,'নিজাগারে ছিল মোর অমূল্য রতন অগণ্য; তা সবে আমি অবহেলা করি...' অর্থাৎ কবি বঙ্গভাষার অমূল্য রত্নের আবিষ্কার করে নিজ প্
আরও পড়ুন27 June, 2024 - 11:55:00 AM
তপন বন্দোপাধ্যায় বিশিষ্ট লেখক পুব আকাশের একটি এলেবেলে নক্ষত্র যখন এক-পা এক-পা করে হেঁটে মধ্যরাতে পৌঁছে যায় ঠিক মাথার উপর, আমি আটতলা বাড়ির সিঁড়ি ভেঙে ছাদে পা রাখি। ছাদে আমার জন্য অপেক্ষা করছিল নিরাভরণ অমাবস্যা। তার স্পর্শ সমস্ত শরীরে শুষে নিতে আমি শুয়ে পড়ি চিৎ হয়ে। দু-চোখে আঁধার ফুঁড়ে ফেলতে থাকি তীব্র প্যাশনে। আঁধার পেরিয়ে পৌঁছে যাই মহাজগতের অনন্ত শূন্যতা অভিমুখে। চৈতন্যে তখন এক তুরীয় অনুভূতি। চোখ ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে মগ্ন নির্জনতা। কোথাও একটা রাতচরা পাখিও নেই যে ভেঙে ফেলবে নিকষ শব্দহীনতা। নিদ্রাহীন মধ্যরাতে শুধু মাথার উপরে প্ল্যানেটোরিয়ামের মতো বিশাল আকাশ। জ্বলছে নিভছে নক্ষত্রের দল আর চকমকি জ্ব
আরও পড়ুন20 June, 2024 - 01:15:00 PM
পলাশ বন্দোপাধ্যায় বিশিষ্ট লেখক, পশ্চিমবঙ্গ কদিন ধরে ঘুষঘুষে জ্বর, মাথা ঘোরা, গা-হাত-পা ব্যথা, দুর্বলতা চলছিল। সে সব উপেক্ষা করে প্যারাসিটামল খেয়ে কোনও মতে অফিসটা করছিলেন তিনি। কিন্তু আজ সন্ধ্যেবেলা কাজে এসে শরীরটা হঠাৎ করে বেশি খারাপ হওয়াতে আর পেরে উঠলেন না। রাতের ডিউটি শিফ্ট অফ করে বাড়ি ফেরা মনস্থ করলেন দ্বারিকানাথ ভর্চাজ। শেয়ালদার এক আই.টি. অফিসে দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করেন। বলতে গেলে প্রায় জন্মলগ্ন থেকে। বয়স পঞ্চাশের কোঠায়। হার্টের ব্যামো। সে কারণে মাঝে মধ্যে প্যালপিটেশন হয়। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে হঠাৎ হঠাৎ করে চোখে অন্ধকার দেখে মাথা হালকা হয়ে পড়ে যাবার উপক্রমও হয়। কার্ডিওলজিস্ট বলেছেন, 'ব্ল্
আরও পড়ুন13 June, 2024 - 11:20:00 AM
সামিয়া মহসীন। বিশিষ্ট নাট্যকর্মী। বাঙালি তাঁর জাতিস্বত্বার শিকড় খুঁজতে বরাবরই অনুসন্ধানী। এই বঙ্গদেশে বাঙালি প্রাচীনকাল থেকেই বাঙলা ভাষাতেই কথা বলে এসেছে। আমরা এখন বাঙলা ভাষার যেই রূপ দেখছি। এটারই বা গোঁড়াপত্তন কবে হল। বিভিন্ন পাঠ্যগ্রন্থ পর্যালোচনা করে খ্রিস্টপূর্ব তিন হাজার বছর আগের ঋগ্বেদের 'ঐতরেয় আরণ্যক' গ্রন্থে প্রথম 'বঙ্গ' শব্দটির উল্লেখ পাওয়া যায়। এক কথায় যদি বলি তাহলে বলতে হয় যে বাঙালি জাতি যেমন শঙ্কর জনসমষ্টি, বাঙলা ভাষাও তেমনি শঙ্কর ভাষা। বর্তমান বাঙলা ভাষা প্রচলনের আগে গৌড় ও পুঞ্জের লোকেরা অসুর ভাষাভাষী ছিল বলে জানা যায়। এক সময় অসুর ভাষাভাষী লোকেরা ছিল সমগ্র প্রাচীন বঙ্গের লোক। অসু
আরও পড়ুন