ভাষা শহিদদের স্মৃতি-তর্পণে প্রজ্জ্বলিত 'সংযোগ'-এর মশাল, যোগ ঘটাল দুই বাংলার
21 February, 2019 - By Bangla WorldWide
21 February, 2019 - By Bangla WorldWide
21 February, 2019 - 01:00:00 AM
বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইড ওয়েব ডেস্ক: বাংলা অভিনয় জগতের গর্ব। মঞ্চ বা রুপোলি পর্দা- দুই মাধ্যমেই যাঁর স্বচ্ছন্দ বিচরণ, একজন জাত অভিনেতা, যিনি নিজেই বলেন, দুই মাধ্যমের অভিনয়ই আমার পছন্দ। আলাদাভাবে বেশি ভালো লাগা বলে কিছু নেই। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি নির্দেশনাও করেছেন। কিন্তু তাঁর কথায়, সিনেমায় নির্দেশনার কাজ আমার পক্ষে অসুবিধার। কারণ, আমাদের সময়ে অন্ততঃ একটা সিনেমা করা মানে সাত-আট মাসের ধাক্কা। একটা হোল টাইম জব বলতে পারেন। সেটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। অন্যদিকে সারাদিনের কাজের শেষে সন্ধ্যাবেলায় নাটকে নির্দেশনা দেওয়া সম্ভব। মঞ্চস্থ হওয়ার আগে শেষ একমাস একটু বেশি চাপ থাকে এই যা। বাবাই তাঁর অভিনয় জগতের অনুপ্রে
আরও পড়ুন20 February, 2019 - 07:45:00 PM
বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইড ওয়েবডেস্ক: ‘লালবাতির নিষেধ ছিল না, তবু ঝড়ের বেগে ধাবমান কলকাতা শহর অতর্কিতে থেমে গেল।’ অদ্ভুত সমাপতন! আশ্চর্য তো বটেই। ঠিক যে দিন কলকাতা মেতে ছিল যিশুর জন্মদিনে, সেদিনই চিরতরে চলে গেলেন কলকাতার যীশু-র কবি। নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। ১৯২৪ সালের ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশের ফরিদপুরে জন্ম। প্রাথমিক পড়াশোনা সেখানকার পাঠশালায়। পরে ১৯৩০-এ কলকাতায় চলে আসা। শহরের মিত্র ইনস্টিটিউশন, বঙ্গবাসী এবং সেন্ট পলস কলেজে পড়াশোনা। চাকরিসূত্রে ১৯৫১ সালে আনন্দবাজার পত্রিকায় যোগ দেন তিনি। ১৯৫৪ সালে প্রকাশ পায় তাঁর প্রথম কবিতার বই ‘নীল নির্জন’। তখন কবির বয়স ৩০। তারপর একে একে প্রকাশ পায় ‘অন্ধকার বারান্দা’
আরও পড়ুন19 February, 2019 - 10:55:00 PM
আমার ঠাকুর্দার বোলপুরে চাল-টালের একটা ব্যবসা ছিল বটে। কিন্তু তারপরে আর আমার পরিবারের কেউ ব্যবসা-বাণিজ্যের রাস্তা মাড়াননি। আই আই টি-তে আমার সহপাঠীদের মধ্যেও এক-আধজন ছাড়া আর কেউ নিজস্ব উদ্যোগ গড়েনি, অন্ততঃ আমি শুনিনি। মাঝে কিছুদিন সোরোসকে অংশীদার হিসাবে পেলেও আর্থিক বাদে অন্য দিক থেকে আমার উৎসাহদাতাও কেউ কোনওদিন ছিলেন না। কাজেই বলতে পারেন, আমার চলার পথ কিছুটা যেন 'একলা চল রে'। তাই আমি ঘটনাচক্রে উদ্যোগপতি। 'অ্যাক্সিডেন্টাল এন্টারপ্রেনিওর' বলতে পারেন। আমি নিজেই ছোটবেলায় চেষ্টা করেছিলাম শেয়ার ইকোনমিকে কেন্দ্র করে অন্যরকম কিছু করতে। আমাদের একেক বাড়িতে একেক খবরের কাগজ আসে। পড়ার পর দুপুরের আগেই তার দা
আরও পড়ুন19 February, 2019 - 07:17:00 PM
লেখক ডাঃ সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়, ওয়েস্ট বেঙ্গল হেল্থ সার্ভিস-এ কর্মরত ছিলেন। গল্প ও উপন্যাস রচয়িতা। গত শতাব্দীর ছয়-এর দশকের কথা। অর্ধ শতাব্দীরও বেশি কাল অতিক্রান্ত। সদ্য কৈশোর পেরোনো এক ঝাঁক তরুণ মফস্বল থেকে ডাক্তারি পড়তে এসেছি ঢাকা মেডিকেল কলেজে। তখন পূর্ব পাকিস্তান, বাংলাদেশ তখনও ভবিষ্যতের গর্ভে। আমাদের মধ্যে ঢাকা শহরেই জন্মকর্ম এমন অনেকে ডাক্তারি পড়ুয়া যেমন ছিল, আমরা যারা ঢাকা শহরের বাইরে থেকে এসেছিলাম তাদের সংখ্যাও কম ছিল না। হয়তো আমরা মফস্বলিরাই ছিলাম সংখ্যাগরিষ্ঠ। সত্যি কথা বলতে গেলে শুধু মেডিকেল কলেজই নয়, গোটা ঢাকা শহরটাকেই আমরা পরম বিস্ময়ে একটু একটু করে তখন আবিস্কার করছি রোজ। সারা দেশ
আরও পড়ুন19 February, 2019 - 06:55:00 PM
লেখক ডাঃ পাঞ্চজন্য ঘটক প্রায় ২৩ বছর বিলেত প্রবাসী | প্রায় ১৭ বছর কাজ করছেন ফরেনসিক সাইকিয়াট্রিতে | বর্তমানে এলিসিয়াম হেলথকেয়ার সংস্থায় ক্লিনিকাল ডিরেক্টর এবং কনসালটেন্ট সাইকিয়াট্রিস্ট | নাটক ও সিনেমায় অভিনয় ও লেখালিখি তাঁর অন্যতম নেশা। ১৯৮৩ বা ১৯৮৪ সাল | নরেন্দ্রপুরে শিশু কবি সম্মেলনে সেবার সভাপতি হয়ে এসেছিলেন কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী | শিশু কবি সম্মেলন হতো ক্লাস ফাইভ থেকে সেভেনের ছেলেদের জন্য | সাধারণতঃ জুনিয়র সেকশনের অ্যাসেম্বলি হলে | নীরেন্দ্রনাথ বড়ো মাপের কবি | আনন্দমেলার সম্পাদক ছিলেন তখন | সব ছাত্রদেরই খুব প্রিয় | তাই বোধহয় সেবার সম্মেলনটি অডিটোরিয়ামে (Vivekananda Centenary Hall ) হয়ে
আরও পড়ুন19 February, 2019 - 06:34:00 PM
সাখাওয়াৎ ভুঁইয়া তোমাকে ছেড়ে চলে এসেছি যেদিন, সেদিনের উজ্জ্বল আকাশে সূর্যস্নানে, ফাল্গুনের দখিনা বাতাসের সাথে, খুব একটা মাখামাখি ছিলো না কারো। না ভোর, না রাত এমনই এক আবহ, মুহূর্তেই আঁধারে ঢেকে গেলো। তারপর আর তোমাকে মা বলে ডাকা হয়নি, তারপর আর তোমার ভাষায় কথা বলা হয়নি। খুব ইচ্ছে করে মাগো, আবার যদি জন্ম নিতে পারতাম, আর একবার, মানুষ না হই, কৃষ্ণচূড়া বা পলাশের ডালে, যদি আবার বসন্ত বউরি পাখি, নয়তো সাদা কবুতর আকাশের গায়, খুব ইচ্ছে করে,মাগো। তোমাকে একবার, মাত্র একবার, বাংলায় মা বলে ডেকে, নিজের মুখের ভাষায় স্বাধীন ব্যাকরণে, পাশে ঘেঁষে বসে থাকি। সাজিয়ে বর্ণমালা কাঞ্চনাভ লালে, আবার দোয়েল হবো, পলাশে
আরও পড়ুন19 February, 2019 - 06:05:00 PM
লেখিকা কৃষ্ণশর্বরী দাশগুপ্ত আকাশবাণীর কলকাতা কেন্দ্রের সহ অধিকর্তা 'বাতাসি! বাতাসি!' -- লোকটা ভয়ানক চেঁচাতে চেঁচাতে গুমটির পিছন দিকে ছুটে গেল। ধাবিত ট্রেনের থেকে এই দৃশ্য চকিতে দেখলুম। কে বাতাসি? জোয়ান লোকটা অত ভয়ঙ্করভাবে তাকে ডাকে কেন? কেন--' এমন কত ডাক, কত খণ্ডচিত্র তো উড়ে যায়, ভেসে যায় আমাদেরও প্রতিদিনের চলার পথে। কিছুক্ষণ কানে বাজতে থাকে ভাসমান কথাগুলি-- তারপর কখন যেন হারিয়ে যায়, সেই নাগাল না-পাওয়া গল্পটা কবিতার শরীর নিয়ে ফুটে ওঠে না আপনার-আমার ক্ষেত্রে, যেমনটা উঠত তাঁর হাতে। কারণ তিনি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, কবিতা যাঁর মাতৃভাষা, কবিতা যাঁর অস্তিত্ব। যিনি বলেন, "সত্যি সত্যিই তো এই লোকটি
আরও পড়ুন19 February, 2019 - 05:25:00 PM
ব্রেখট বলেছিলেন- যে মানুষ অন্যকে ভালোবাসে, সে নিজেকে ভালোবাসে; সে ভালোমানুষ। বাঙালি অন্যদের একটু বেশিই ভালোবেসেছে। সে যত দিয়েছে, নিয়েছে তার অনেক কম। বাঙালি, বলা যায় কিছুটা আত্মবঞ্চিত জাতি।
আরও পড়ুন18 February, 2019 - 07:15:00 PM
বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইড ওয়েবডেস্ক: "যেমন সাহস গড়ে ওঠে। পিতার কারক থেকে ভেঙে ভেঙে যাওয়া শূন্যতা কিংবা আরও ক্ষতিকারক কোনও ঋণভার উপেক্ষা ক'রে-যেমন মিছিল গড়ে ওঠে। জল-মাটি-ফসলের নরম শরীর থেকে রক্তের গর্বিত লাল- যেমন শাসন ভেঙে দেয়, অনুশাসনের শ্বাস পেঁচিয়ে বেরিয়ে আসে ভ্রুণের নিঃশ্বাস-মুঠো, যেমন ঢাকার পথ দিয়ে বারুদ স্তব্ধ ক'রে স্লোগান জাগিয়ে রাখে প্রেম জানাবার ভাষাখানি- ... স্মৃতির সীমানা থেকে ঢের ঢের জন্মের দূরে, হয়ত ব্যর্থ পুরোপুরি, নির্মাণ করে চলি প্রেম জাগাবার ভাষাখানি।" -নুরুল বরকত ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ইউনেস্কোর ৩০তম অধিবেশন। রাষ্ট্রসংঘের সেই সভায় ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জা
আরও পড়ুন