দেশে বিনিয়োগ - পর্ব ১
19 February, 2019 - By Bangla WorldWide
19 February, 2019 - 06:34:00 PM
সাখাওয়াৎ ভুঁইয়া তোমাকে ছেড়ে চলে এসেছি যেদিন, সেদিনের উজ্জ্বল আকাশে সূর্যস্নানে, ফাল্গুনের দখিনা বাতাসের সাথে, খুব একটা মাখামাখি ছিলো না কারো। না ভোর, না রাত এমনই এক আবহ, মুহূর্তেই আঁধারে ঢেকে গেলো। তারপর আর তোমাকে মা বলে ডাকা হয়নি, তারপর আর তোমার ভাষায় কথা বলা হয়নি। খুব ইচ্ছে করে মাগো, আবার যদি জন্ম নিতে পারতাম, আর একবার, মানুষ না হই, কৃষ্ণচূড়া বা পলাশের ডালে, যদি আবার বসন্ত বউরি পাখি, নয়তো সাদা কবুতর আকাশের গায়, খুব ইচ্ছে করে,মাগো। তোমাকে একবার, মাত্র একবার, বাংলায় মা বলে ডেকে, নিজের মুখের ভাষায় স্বাধীন ব্যাকরণে, পাশে ঘেঁষে বসে থাকি। সাজিয়ে বর্ণমালা কাঞ্চনাভ লালে, আবার দোয়েল হবো, পলাশে
আরও পড়ুন19 February, 2019 - 06:25:00 PM
মৌসুমী পাল, রন্ধনশিল্পী জলপথ বিহারে, একের পর এক সৃষ্টি উঠে এসেছে রবীন্দ্রনাথের কলমে। কাব্য-সাহিত্যের সেই বিপুল সৃষ্টির মধ্যে কবিগুরুর এই জলপথ ভ্রমণের সময় জন্ম নিয়েছিল আহারের এক পদ। মাঝেমধ্যেই স্টিমারে চড়ে পদ্মায় ভেসে পড়তেন রবীন্দ্রনাথ। জলপথে যেতেন ওপার বাংলার গোয়ালন্দে। দীর্ঘ পথ। এমনই একটা দিন, রান্নার সময় পর্যাপ্ত জিনিস কম পড়ল। কবিগুরুর জন্য রান্না করতেন স্টিমারের চালক স্বয়ং। একদিকে স্টিমার চালানো, সেইসঙ্গে রান্না। মুরগীর মাংস রাঁধতে গিয়ে, সময় বাঁচাতে সেদিন অনেকটা বিরিয়ানির ধাঁচে আঁচে বসিয়ে দিলেন মাংসের সঙ্গে সেদ্ধ ডিম, আলু এবং অন্যান্য উপকরণ। তৈরি হয়ে গেল মুরগীর মাংসের এক নতুন পদ। সেটি খেয়ে
আরও পড়ুন19 February, 2019 - 06:10:00 PM
কৃষ্ণাংশু রায়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ইন্সিটিউট অব হেল্থ এন্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ারের অধিকর্তা পশ্চিমবঙ্গে সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার রূপান্তর একটি গদ্যের মতো। রাজ্যের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশনের (NRHM) হাত ধরে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে পূণর্নবীকরণ (Health Sector Reform) পথে হাঁটা শুরু করে আজ রাজ্যবাসীর বিশ্বাস আবারও অর্জন করেছে।এই বিষয়ে ৩টি লক্ষ্য স্থির করা হয়।- মানুষের ক্ষমতা এবং আওতার মধ্যে এক উচ্চমানের দীর্ঘ মেয়াদি স্বাস্থ্য পরিষেবাকে পৌঁছে দেওয়া। প্রান্তিক এবং দরিদ্র মানুষ, মা ও শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যকে বিশেষ গুরুত্বের আওতায় আনা। পরিকাঠামোগত উন্নতি ও স্বাস্
আরও পড়ুন19 February, 2019 - 06:05:00 PM
গঙ্গা আর পদ্মার বহমানতার মতোই ভারত-বাংলাদেশ যে মৈত্রীর বন্ধন আবহমান কাল ধরে বহমান থাকবে। দুই বাংলার শিল্প-সংস্কৃতির যোগ আরও বাড়াতে, কলকাতায় তিনদিনের বাংলাদেশি চলচ্চিত্র উৎসবের সূচনায় বললেন সেদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ।
আরও পড়ুন19 February, 2019 - 06:05:00 PM
লেখিকা কৃষ্ণশর্বরী দাশগুপ্ত আকাশবাণীর কলকাতা কেন্দ্রের সহ অধিকর্তা 'বাতাসি! বাতাসি!' -- লোকটা ভয়ানক চেঁচাতে চেঁচাতে গুমটির পিছন দিকে ছুটে গেল। ধাবিত ট্রেনের থেকে এই দৃশ্য চকিতে দেখলুম। কে বাতাসি? জোয়ান লোকটা অত ভয়ঙ্করভাবে তাকে ডাকে কেন? কেন--' এমন কত ডাক, কত খণ্ডচিত্র তো উড়ে যায়, ভেসে যায় আমাদেরও প্রতিদিনের চলার পথে। কিছুক্ষণ কানে বাজতে থাকে ভাসমান কথাগুলি-- তারপর কখন যেন হারিয়ে যায়, সেই নাগাল না-পাওয়া গল্পটা কবিতার শরীর নিয়ে ফুটে ওঠে না আপনার-আমার ক্ষেত্রে, যেমনটা উঠত তাঁর হাতে। কারণ তিনি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, কবিতা যাঁর মাতৃভাষা, কবিতা যাঁর অস্তিত্ব। যিনি বলেন, "সত্যি সত্যিই তো এই লোকটি
আরও পড়ুন19 February, 2019 - 05:55:00 PM
লখনউ থেকে বটুক মহন্ত আমাদের ওখানে বাঙালিয়ানা আর বাংলা ভাষার চর্চা নিয়ে আমরা খুবই তৎপর। এমনকি কলকাতার চেয়েও বেশি। তার কারণ, আমরা প্রতি পদে প্রতি মুহূর্তে বাংলা ভাষা আর সংস্কৃতিকে মিস করি। আর তাই তাকে আরও বেশি করে আমাদের আর আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করি। আমাদের এখানে বেঙ্গলি ক্লাব আছে। আমরা সব উৎসব পালন করি। নজরুল, রবীন্দ্রনাথের নাচ-গান-কবিতা নিয়ে প্রায়ই অনুষ্ঠান করি। আমাদের এখানে শখানেক দুর্গাবাড়ি আছে যেখানে পুজো হয়। লখনউ, এলাহাবাদ, কানপুর সর্বত্র পুজো হয়। আমরা তো অতুলপ্রসাদ সেনের জায়গার লোক। এখানে অধিকাংশ পুজোই বেশ প্রাচীন। কোনও পুজো ৮০ বছরের, কোনও পুজো ১০০ বছর
আরও পড়ুন19 February, 2019 - 05:25:00 PM
ব্রেখট বলেছিলেন- যে মানুষ অন্যকে ভালোবাসে, সে নিজেকে ভালোবাসে; সে ভালোমানুষ। বাঙালি অন্যদের একটু বেশিই ভালোবেসেছে। সে যত দিয়েছে, নিয়েছে তার অনেক কম। বাঙালি, বলা যায় কিছুটা আত্মবঞ্চিত জাতি।
আরও পড়ুন19 February, 2019 - 05:25:00 PM
এই সময়ে দাঁড়িয়ে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, বাংলা ভাষা-সংস্কৃতির এখন বেশ দৈন্যদশা। আমরা খুবই গর্বিত এই ভেবে, আমরা যে অনুষ্ঠান করি তাতে বাংলা ভাষা-সংস্কৃতির সেবাই করা হয়। বাংলা ভাষায় আবৃত্তি-শ্রুতি নাটকের মধ্য দিয়ে আমরা দূর-দূরান্তের মানুষের কাছে পৌঁছে যাই। যারা প্রবাসী, তাদের মধ্যে যাঁরা সমসাময়িক কিংবা একটু আগের, তাঁদের শরীরটা বিদেশে থাকলেও মনটা পড়ে থাকে স্বদেশে। স্বদেশের সংস্কৃতিতে। নিজেদের শিকড়ের প্রতি এঁদের একটা টান আছে, তা আমরা অনুষ্ঠান করতে গিয়ে ভীষণভাবে অনুভব করেছি। এই শিকড়কে, এই সংস্কৃতি বা বাঙালির অন্যান্য উল্লেখযোগ্য জিনিসকে একেবারে কাছে এনে দিতে পারে এই পোর্টাল। আমি মনে করি, বাংলা ও বাঙ
আরও পড়ুন19 February, 2019 - 05:20:00 PM
বাংলার নানা খবর, বাঙালির নানা কথা নিয়ে আসছে 'বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইড'। এটা খুবই আনন্দের কথা। আমাদের দেশে অনেক ভাষাভাষি মানুষের নিজস্ব পোর্টাল আছে। কিন্তু নির্দিষ্টভাবে বাংলা ভাষাভাষিদের জন্য তেমন কিছু আছে বলে জানি না। অথচ সবদিক থেকেই এটি খুব দরকারি। আমাদের এখানে বাঙালির সামগ্রিক চেহারাটা তেমন সুবিধের নয়। কিন্তু এরই মধ্যে কম হলেও কিছু ভালো কাজ হচ্ছে। এই পোর্টালের মাধ্যমে যেকোনও ক্ষেত্রের সেই ভালো এবং আশাপ্রদ কাজগুলি বিশ্বের না প্রান্তের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে। সেইসঙ্গে বিশ্বের নানা জায়গায় বাঙালিরা যেসব উল্লেখযোগ্য কাজ করছে, সেসব বিষয়েও এখানকার মানুষ জানতে পারবে। এতে উভয় দিকেরই লাভ। ধরা যাক, ...
আরও পড়ুন19 February, 2019 - 12:20:00 AM
শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায়, আমেরিকা প্রবাসী। কর্মসূত্রে বাংলা থেকে মার্কিন মুলুকে পা রেখেছিলাম একদিন। স্ত্রী-কন্যা আর মার্কিন নাগরিকত্ব নিয়ে আজ আমার স্থায়ী ঠিকানা আমেরিকা। তবে, আমার জন্মভিটে মালদহ এবং প্রাণের শহর কলকাতার সঙ্গে শিকড়ের যোগ আজও অটুট। ঠিক নিয়ম করে না হলেও, আমেরিকা থেকে দেশের মাটিতে আসা-যাওয়ায় ছেদ পড়েনি কোনওভাবেই। কিন্তু বন্ধু-বান্ধব, পরিজনদের কাছে আমার নামের আগে 'প্রবাসী' তকমাটা জুড়ে গিয়েছে। প্রবাসী বাঙালি। এই দুই শব্দের মধেই রয়েছে একটা মানুষের যাপন এবং মননের পরিবর্তনের ইঙ্গিত। আমাদের বাঙালিদের প্রবাসী জীবনকে এককথায় আমি বলি, দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, হয় ছাত্রাবস্থায়, ন
আরও পড়ুন