যাত্রা
20 June, 2024 - By Editor Role
13 June, 2024 - 11:40:00 AM
লাজবী মুখার্জী লেখিকা, পশ্চিমবঙ্গ "বিশ্ব সাথে যেথায় যোগে বিহারো সেইখানে যোগ তোমার সাথে আমারও" সভ্যতার নিয়মে জীবন এগিয়ে চলেছে তার আপন গতিতে। এক মুহুর্ত অবসর যাপনের সুযোগটুকু নেই তারই মধ্যে যদি ক্ষণিকের অবসর খুঁজে নিয়ে একটু আনন্দ সমুদ্রে গা ভাসানো যায় তাই জীবনের পরম প্রাপ্তি। মহাবিশ্বে, মহাকাশে, মহাকাল মাঝে যিনি তার আশীর্বাদ ও স্নেহসুধার পাত্রখানি উজাড় করে রেখেছেন তাকে অন্তরের স্পর্শটুকু দিয়ে ছুঁয়ে দেখার সুযোগ কী ছাড়া যায়! জগতের পালকপিতা তথা প্রিয়তম সখার পাদপদ্মখানি ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছেটুকু অন্তরে লালন করে গত ২৫শে ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দুরন্ত এক্সপ্রেসে রওনা দিলাম জগন্নাথ ধাম পুরীর উদ্দেশ্যে। ট্রেনয
আরও পড়ুন13 June, 2024 - 11:20:00 AM
সামিয়া মহসীন। বিশিষ্ট নাট্যকর্মী। বাঙালি তাঁর জাতিস্বত্বার শিকড় খুঁজতে বরাবরই অনুসন্ধানী। এই বঙ্গদেশে বাঙালি প্রাচীনকাল থেকেই বাঙলা ভাষাতেই কথা বলে এসেছে। আমরা এখন বাঙলা ভাষার যেই রূপ দেখছি। এটারই বা গোঁড়াপত্তন কবে হল। বিভিন্ন পাঠ্যগ্রন্থ পর্যালোচনা করে খ্রিস্টপূর্ব তিন হাজার বছর আগের ঋগ্বেদের 'ঐতরেয় আরণ্যক' গ্রন্থে প্রথম 'বঙ্গ' শব্দটির উল্লেখ পাওয়া যায়। এক কথায় যদি বলি তাহলে বলতে হয় যে বাঙালি জাতি যেমন শঙ্কর জনসমষ্টি, বাঙলা ভাষাও তেমনি শঙ্কর ভাষা। বর্তমান বাঙলা ভাষা প্রচলনের আগে গৌড় ও পুঞ্জের লোকেরা অসুর ভাষাভাষী ছিল বলে জানা যায়। এক সময় অসুর ভাষাভাষী লোকেরা ছিল সমগ্র প্রাচীন বঙ্গের লোক। অসু
আরও পড়ুন11 June, 2024 - 11:45:00 AM
বিশ্বজিৎ মতিলাল বরিষ্ঠ গণজ্ঞাপন আধিকারিক ও সাংবাদিক, পশ্চিমবঙ্গ সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বিদেশী ছবি "ওপেনহাইমার" শহরে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। অনেকেই ছবিটি দেখেছেন, আলোচনা করেছেন, লেখালেখিও হয়েছে। এই ছবিটির প্রেক্ষিতে একটি বাংলা বই জনমানসে ফিরে এলো। বইটির নাম "বিশ্বাসঘাতক", লেখক নারায়ণ সান্যাল। উনি বহুদিন আগে এই বইতে পরমাণু বোমা, তার আবিষ্কার, তার জনক এবং আরোও অনেক তথ্য একত্রিত করেছিলেন। নারায়ণ সান্যাল ছিলেন এক অনন্য প্রতিভাশালী মানুষ, পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ও নেশায় লেখক। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, গবেষণামূলক রচনা এ সবই ছিল তার করায়ত্ত। লেখক নারায়ণ সান্যালের চাইতেও আমার কাছে অনেক বড় করে ধরা দিয়
আরও পড়ুন6 June, 2024 - 02:05:00 PM
চম্পাকলি আইয়ুব।অবসরপ্রাপ্ত বিজ্ঞান-গবেষক। মুম্বাই নিবাসী প্রথম পর্বের পর... 'কাসল'-এর পূর্ব দিকের ফটকটির পথের পাশে একটু উঁচুতে থাকা যে ঘর তাতে যে স্তম্ভগুলো ছিল তাদের সামান্য অংশ এখনও দেখা যায়। তেমন একটি স্তম্ভের নিচের অংশে রয়েছে বড় একটি চৌকো পাথরের ওপর ডমরুর আকারের আরেকটি বড় পাথর; ডমরুর ওপর ও নিচের তল একদম মসৃণ। কয়েকটি চৌকো, বড় পাথর দেখেছি যাদেরও ধারগুলো একদম মসৃণ। এছাড়া সেখানে রয়েছে কিছু নিটোল গোল কিন্তু লম্বাটে পাথর যা সম্ভবত ছিল কোনো স্তম্ভের অংশ। কী ধরণের যন্ত্র ব্যবহার করে সেযুগের মানুষ এমন অবিশ্বাস্য রকমের নিখুঁত কাজ করেছিল সে সম্বন্ধে এখনও কিছুই জানা যায়নি। 'বেইলি'-তে থাকা একটি গো
আরও পড়ুন6 June, 2024 - 01:05:00 PM
চম্পাকলি আইয়ুব। অবসরপ্রাপ্ত বিজ্ঞান-গবেষক। মুম্বাই নিবাসী ছোটবেলা থেকে হরপ্পা-সভ্যতা সম্বন্ধে আমার প্রবল কৌতূহল। ইতিহাস বইয়ে যতটুকু পড়েছি তাতে রোমাঞ্চিত হয়েছি দু'টি কারণে প্রথমটি ঐ সভ্যতার উচ্চমান আর দ্বিতীয়টি সেই সভ্যতার বিলীন হয়ে যাওয়ার রহস্য। প্রাচীন ঐ সভ্যতার প্রধান নিদর্শন রয়েছে হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারোতে কিন্তু সেই দুটি জায়গাই বর্তমানে পাকিস্তানে তাই ইচ্ছে থাকলেও সেখানে যাওয়া আমাদের জন্য সহজ নয়। তবে ভারতেও বেশ কয়েকটি অঞ্চলে হরপ্পা সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে। তাদের মধ্যে একটি রয়েছে গুজরাতের 'গ্রেট রণ অফ কচ্ছ'-এ ও হরপ্পা সভ্যতার বড় বসতিগুলোর মধ্যে সেটির স্থান পঞ্চম। 'রণ অফ কচ্ছ' হ্রদের ...
আরও পড়ুন6 June, 2024 - 11:20:00 AM
ডাঃ জিয়াউদ্দিন আহমেদঅধ্যাপক মেডিসিন এবং কিডনি বিভাগটেম্পলে বিশ্ববিদ্যালয়, ফিলাডেলফিয়া। প্রথম যখন ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা এলাম সে সময় ফিলাডেলফিয়ার আশেপাশে পশ্চিমবাংলার বেশ কিছু মানুষের সাথে পরিচয় হয়, ঘনিষ্ঠতা হল। এই সংযোগ ঘটিয়েছিলেন একজন প্রিয় মানুষ, এখন প্রয়াত, সুযশ গুহ রায়। তিনি বাংলাদেশি ফার্মাসিস্ট এবং ঢাকার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তার তিন বোনের মধ্যে দুই জনের মুক্তিযুদ্ধের আগেই কলকাতায় বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। আর পরবর্তী সময়ে দুই ভাই আর তিন বোন কলকাতায় থাকতেন। তবে বাবা-মা বাংলাদেশেই ছিলেন। স্বাভাবিক কারণেই দুই বাংলার মানুষের জন্য সুযশদার ছিল সমান ভালোবাসা। বাংলাদেশ কমিউনিটি তখন বে
আরও পড়ুন30 May, 2024 - 01:05:00 PM
শান্তনু দত্ত চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক অবসরপ্রাপ্ত উপ তথ্য অধিকর্তা, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার। প্রথম পর্বের পর... ১৯১৪ সালের পর সেলুলার জেলের অভ্যন্তরে যে সংগ্রামের শুরু হয় তাতে পাঞ্জাবি ও শিখ বন্দীরা অসমসাহসের পরিচয় দেন। এঁরা প্রচন্ড বলশালী ব্যক্তি ছিলেন। জেলের ওই অল্প পরিমাণ অখাদ্যের ও কঠোর পরিশ্রমের বিরুদ্ধে এঁরা ক্রমাগত প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। ফলত নানা রকমের সাজা ও Penal diet। পাঞ্জাবের বিপ্লবীরা বলতেন এই সামান্য খাদ্য খেয়ে খিদেও মেটে না উপরক্ত আরও বেশি খিদে পায়। তাই তাঁরা অনেকেই খাওয়া ছেড়ে দেন। আড়াই তিন মন ওজনের এক একজন সর্দারজি বন্দীর ওজন কমে দাঁড়ায় ২৫ সের ৩০ সের। প্রথম থেকে ...
আরও পড়ুন30 May, 2024 - 12:05:00 PM
শান্তনু দত্ত চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক অবসরপ্রাপ্ত উপ তথ্য অধিকর্তা, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার। স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে আন্দামান সেলুলার জেলের নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় সহস্র মাইল দূরে বঙ্গোপসাগরের মধ্যে অবস্থিত আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের এক দ্বীপে এই ভয়ঙ্কর 'কারাগারটি' ব্রিটিশ শাসকরা গড়ে তোলে ১৮৫৭ সালের প্রথম সিপাহী বিদ্রোহের পরে। বেশ কিছু বিদ্রোহীকেও সিপাহীকে প্রথম এই জেলে বন্দী করে নিয়ে আসা হয়। এই সময় দেশ থেকে বেশ কিছু ওয়াহাবি বিদ্রোহীকেও আন্দামানে নির্বাসিত করা হয়। এই সব বিদ্রোহীদের নাম জানা যায় না। ১৮৭২ সালে যখন গভর্নর জেনারেল লর্ড মেয়ো আন্দামান পরিদর
আরও পড়ুন30 May, 2024 - 11:15:00 AM
সিলভীয়া পান্ডীত। আমেরিকা নিবাসী। কবি-সাহিত্যিক। প্রথম দেখা কলকাতায় আমাদের প্রথম দিন বিকেল বেলা দেখা হয়েছিল অমলেশদার সাথে। খুব fruitful ছিল এই দেখা। অমলেশদাকে আমি চিনি ২০২০ সাল থেকে। উনি আমার একটা লেখা পড়ে আমাকে Facebook-এ খুঁজে বের করেন তারপর থেকে দাদা আমার ভক্ত আর আমি দাদার। অমলেশদা হলেন জ্ঞাণের ভান্ডার, ওনার সাথে যত কথা বলি তত জ্ঞাণ আহরণ করি। চারদিনের সফরে পুরো একটা দিনের অর্ধেক দিন অমলেশদার সাথে কাটিয়েছি। দাদার সাথে গ্র্যান্ড হোটেলের swimming pool এর পাশে বসে আমি আর সালমা আড্ডা দিয়েছি এবং কফি খেয়েছি। সালমা ওর স্বভাব মত swimming pool-এর পানিতে পা ডুবাচ্ছিল আর মনের আনন্দে selfie তুলছিল তা
আরও পড়ুন