বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাঙালির নিজস্ব মঞ্চ

বিশাখাপত্তনম থেকে কথা-র কথা

18 February, 2019 - 09:25:00 PM

বিশাখাপত্তনম থেকে অনিন্দ্য পাল বিশাখাপত্তনমে ২৮ বছর প্রবাসী, বর্তমানে রাষ্ট্রীয় ইস্পাত নিগম লিমিটেড-এ ডিজিএম(আই টি) পদে কর্মরত।বিশাখাপত্তনমের একমাত্র সাহিত্য পত্রিকা পঁচিশ বছর উত্তীর্ণ “কথা”র প্রথম প্রকাশ থেকে সম্পাদক। লিখেছেন কবিতা, ছোটগল্প,নাটক। বিশাখাপত্তনমে মঞ্চস্থ বহু নাটকের নাট্যকার,অভিনেতা এবং পরিচালক। ভালবাসেন অচেনা জায়গা খুঁজে বার করে বেড়াতে।   বিশাখাপত্তনমের ইস্পাতনগরীতে এসে যান্ত্রিক জীবনের বাহুডোরে নিজেকে সঁপে দিয়ে দিব্য ছিলাম। কিন্তু একদিন বিকেলে কারখানা থেকে ফিরতি পথে চিমনির পাশে অস্তগামী সূর্যের মারকাটারি আলোর সামনে ঘরমুখো একঝাঁক পাখির সিলুয়েট দেখে বাঁই করে মাথাটা ঘুরে গেল। ধেয়

আরও পড়ুন

একুশের আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস হয়ে ওঠা

18 February, 2019 - 07:15:00 PM

বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইড ওয়েবডেস্ক: "যেমন সাহস গড়ে ওঠে। পিতার কারক থেকে ভেঙে ভেঙে যাওয়া শূন্যতা কিংবা আরও ক্ষতিকারক কোনও ঋণভার উপেক্ষা ক'রে-যেমন মিছিল গড়ে ওঠে। জল-মাটি-ফসলের নরম শরীর থেকে রক্তের গর্বিত লাল- যেমন শাসন ভেঙে দেয়, অনুশাসনের শ্বাস পেঁচিয়ে বেরিয়ে আসে ভ্রুণের নিঃশ্বাস-মুঠো, যেমন ঢাকার পথ দিয়ে বারুদ স্তব্ধ ক'রে স্লোগান জাগিয়ে রাখে প্রেম জানাবার ভাষাখানি- ... স্মৃতির সীমানা থেকে ঢের ঢের জন্মের দূরে, হয়ত ব্যর্থ পুরোপুরি, নির্মাণ করে চলি প্রেম জাগাবার ভাষাখানি।" -নুরুল বরকত ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ইউনেস্কোর ৩০তম অধিবেশন। রাষ্ট্রসংঘের সেই সভায় ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জা

আরও পড়ুন

সোনার কেল্লা ও গোল্ডেন গ্লাস: পর্ব - ১

18 February, 2019 - 07:06:00 PM

লিখেছেন দীপঙ্কর দাস দীপঙ্কর দাস। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টের স্নাতক। বর্তমানে পেশায় স্থপতি। হেলথকেয়ার প্রজেক্ট এবং এডুকেশনাল প্রজেক্ট নিয়ে আর্কিটেকচারাল কনসালটেন্সি করেন। অবশেষে আমরা যোধপুর থেকে জয়সালমীর পৌছালাম| হোটেলে কিছুক্ষণ রেস্ট নেওয়ার পর জয়সালমীর মানে সোনার কেল্লার উদ্দেশে রওনা দিলাম। আমাদের ড্রাইভার হিম্মত সিং সব জানে। হিম্মত সিং একজন ওর চেনাশোনা গাইড এর ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। সোনার কেল্লা পৌঁছে গেলাম। গাইড অপেক্ষা করছিল আমাদের জন্য। গাইড এর নাম মুকেশ। বেশ ভালো দেখতে। কথা বলে খুব সুন্দর! সোনার কেল্লা দেখা শুরু করলাম। দু'ঘণ্টার মধ্যে আমাদের সোনার কেল্লা দ

আরও পড়ুন

হল্যান্ডে হইচই

18 February, 2019 - 06:40:00 PM

লেখক অগ্নিভ একজন তথ্য-প্রযুক্তি ইঞ্জিনিয়ার। ২০০৯ সাল থেকে লেখক অগ্নিভ একজন তথ্য-প্রযুক্তি ইঞ্জিনিয়ার কর্মরত। সাহিত্যানুরাগী অগ্নিভ নাটক ও চলচ্চিত্র নির্দেশনার কাজে যুক্ত। সাল ২০১৪, সবে পুজো শেষ হয়েছে। আমরা কয়েকজন দুর্ভাগা যারা শরৎকালে নেদারল্যান্ডসের বৃষ্টি উপভোগ করছিলাম, ঠিক করলাম যে একটা ঘরোয়া বিজয়া সম্মিলনী করা যাক। হোয়াটসঅ্যাপের আলোচনা-মতো মেনু নিয়ে ভেন্যুতে পৌঁছে বেশ আনন্দ হচ্ছে, এমন সময় সেই মাহেন্দ্রক্ষণ উপস্থিত হলো। কে বেশ বললো, এই আনন্দের পরিবেশটা আর-একটু প্রসারিত করলে কেমন হয়? বেশ, ভালো কথা। কিন্তু, সেই যে হীরক রাজা বলে গিয়েছেন, “যার নাম নাই, তার কথার দাম নাই!" তাই সবার আগে দরকার এই  ...

আরও পড়ুন

সঞ্জীবায়ন

18 February, 2019 - 06:20:00 PM

আচ্ছা, ভগবানের কি পাপ হয়? মানুষ পাপ করতে পারে, কিন্তু ভগবানও কি পাপ করতে পারে! মানুষ দোষে-গুণে মিলিয়ে। ভগবানের তো দোষ বলে কিছু থাকে না। সবই গুণ। তাহলে তো তাঁর দোষ হওয়ার কিছু নেই।

আরও পড়ুন

বইয়ের জমানা শেষ হয়ে যায়নি, দেখাল কলকাতা বইমেলা

18 February, 2019 - 06:15:00 PM

অমিত মিত্র কলকাতা বইমেলা। এই দুই শব্দের সঙ্গে বইপ্রেমী বাঙালির টান এক নস্টালজিয়ায় মোড়া। মহামান্য আদালতের নির্দেশে বহু বছর আগেই তাকে 'কলকাতার ফুসফুস' ময়দান থেকে সরে যেতে হয়েছে। ফি বছর জানুয়ারির শেষ বুধবার শুরু হয়ে কলকাতা বইমেলার সমাপ্তি ঘটত ফেব্রুয়ারির প্রথম রবিবারে। বইপিপাসু-পাঠককুলের সব পথ এসে মিশে যেত পার্কস্ট্রিটে। তা অতীত হয়ে স্মৃতির সরণিতে এখন। সেইসঙ্গে গত কয়েক বছর যাবৎ একটা প্রশ্ন এবং সংশয় উঠে আসছে বইমেলার সময় এলেই। বাঙালির এই প্রজন্ম কি বই কেনা এবং বই পড়া থেকে বিমুখ হচ্ছে ক্রমশ? অনেকেই এখন বই পড়ছে ট্যাব-এ, বা কম্পিউটারের পর্দায়, বা কিন্ডল জাতীয় যন্ত্রে। অনেকে মোবাইলেই পড়ছে। শুধুমাত্র ম

আরও পড়ুন

গঙ্গাজল ও গঙ্গাজলি নাড়ুর কথা

18 February, 2019 - 05:40:00 PM

লিখেছেন মৌ কয়াল, ফেসবুক পেজ: পুরনো কলকাতার গল্প আমোদিনী দাশগুপ্ত … চেনেন ? চেনেন না তো ? ঊনবিংশ শতাব্দীর এক বালিকাবধূ ,যে মাত্র ১২ বছর বয়সে তার পুতুলের সংসার ছেড়ে নিজের সংসারের সর্বময় কর্ত্রী হয়ে দক্ষতার সঙ্গে সংসারধর্ম পালন করেতে শুরু করেছিলেন এবং অভাবের সংসারেও পরম যত্নের সঙ্গে নয়টি সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করেছিলেন। তার আরো একটা শখ ছিল , দুপুরে সংসারের সবার রান্নাখাওয়ার পাট মিটলে মাটির উনুনের নিভু আঁচে রকমারি মিষ্টি ও মুখরোচক খাবার বানানো। একটা সময় ছিল, যখন বাংলার ঘরে ঘরে এমন আমোদিনীদের দেখা পাওয়া যেত। বাংলা তখনও ‘এপার’ আর ‘ওপার’ এই দুভাগে ভাগ হয়নি। লেখাটা পড়তে পড়তে আপনারও হয়তো আপনাদের ব

আরও পড়ুন

পুরনো কলকাতার থিয়েটার - হারিয়ে যাওয়া মঞ্চের সন্ধানে

18 February, 2019 - 05:35:00 PM

ফেসবুক পেজ : পুরনো কলকাতার গল্প   আটের দশকের শেষ। হাতিবাগান অঞ্চলে রমরমিয়ে চলছে বিশ্বরূপা, রংমহল, বিজন থিয়েটার, সারকারিনা ও রঙ্গনা। সপ্তাহের তিন দিন রাস্তার মুখে গাড়ি চলাচল বন্ধের বোর্ড । রাজা রাজকৃষ্ণ রোডে রঙের বাহার। কিন্তু সময়ের সংগে টিভির জনপ্রিয়তার ফলে হলগুলোতে ঘনিয়ে এলো অমাবস্যার অন্ধকার। একে একে সবই বন্ধ হয়ে গেল। বিশ্বরূপায় হলো আবাসন ও রংমহলে শপিং মল। ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে নির্বাক ভাবে ধ্বংসের প্রহর গুনছে বাকিরা। সরকারি আনুকূল্যে টিকে আছে মিনার্ভা, স্টার ও গিরীশ মঞ্চ। রাজা রাজকৃষ্ণ স্ট্রিট - সন্ধ্যায় যে রাস্তায় হলমুখী বা হলফেরত মানুষের ঢল নামত, আজ সেখানে অন্ধকার, শুধুই অন্ধকার। আর ...

আরও পড়ুন

বাংলা গানের পথ চলা

18 February, 2019 - 09:40:00 AM

স্বপন সোম, সংগীতশিল্পী ও সংগীত গবেষক সেই যে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন- 'বাংলা সাহিত্য ভাণ্ডারে রত্ন যাহা কিছু পাওয়া যায়, তাহা গান।'-হ্যাঁ, বাংলা গান। বঙ্গ সংস্কৃতির অন্যতম উজ্জ্বল অংশ বাংলা গান। দীর্ঘ পরম্পরাবাহী বাংলা গান অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও বৈচিত্রময়। এ গানের আদি পর্বে ছিল চর্যাপদের গান। এই গানের মাধ্যমে বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যেরা শিষ্যদের শিক্ষা দিতেন ধর্ম সম্পর্কে। গানগুলি তত্ত্বকথার হলেও রাগ-রাগিণী সমৃদ্ধ ছিল। ক্রমশ এল কবি জয়দেবের গীতগোবিন্দ, বড়ু চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন এবং মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যের আবির্ভাবের পরে কীর্তন গান। খণ্ডকীর্তন এবং পদাবলী কীর্তনে ভক্তমনের আকূতি প্রকাশ পেল। কীর্তনের মধ্যে একটা ...

আরও পড়ুন

বাঙালির ফুটবল : ঘটি-বাঙালের লড়াই করে কী হবে, ক্লাব আর ভারতীয় দলে বাঙালি কই?

14 February, 2019 - 10:00:00 PM

লেখক নির্মল নাথ অভিজ্ঞ ক্রীড়া সাংবাদিক     অফিসেই লেগে গেল ঘটি-বাঙালের লড়াই। এটা অবশ্য নতুন কিছু নয়। মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ এগিয়ে এলেই অফিসের সবাই জানেন, তাঁদের সামনেই শুরু হবে গৌরীবাড়ির শ্রীধরের সঙ্গে বাঘাযতীনের মিল্টুর লড়াই। ঘটি-বাঙালের লড়াই। এই লড়াইটা অবশ্য শেষ পর্যন্ত মিল্টু আর শ্রীধরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, দুই পক্ষের মধ্যে গলামেলাতে অনেক উৎসাহী জড়িয়ে পড়েন। তর্কাতর্কিতে একবার শ্রীধর বলেছিল, 'যতই আসিয়ান কাপ জেত আর পাঁচ গোল দে, ১৯১১ 'র শিল্ড জয়ের সেই স্বর্ণোজ্জ্বল অধ্যায়ের কাহিনী তোদের চোখ ছানাবড়া করে পড়তেই হবে। সারা দেশের মানুষ ওই কাহিনী পড়ে। সিনেমায় দেখে। এবার ১৯১১ 'র সেই শিল্

আরও পড়ুন

SUBSCRIBE TO NEWSLETTER

SUSCRIBETE